২০২০ তে দেশব্যাপী যখন নাজেহাল করোনার গ্রাসে, তখন বলিউডেও নেমে আসে এক দুর্বিষহ বিপর্যয়। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে, বলিউড জড়িয়ে পড়ে বিতর্কের কালো আঁধারে। প্রকট হয়ে ওঠে স্বজনপোষণ নীতির (Nepotism) অসহিষ্ণু দিক। দর্শক ভাগ হয়ে যান একাধিক ভাগে। কেউ কেউ বলিউডের ‘স্টারকিড’ এবং তাঁদের অভিনীত ছবিকে বয়কট করার দাবি তোলেন। সেই রেশ এখনও প্রকটভাবে ছেয়ে আছে বি-টাউন জুড়ে।
বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা, আমির খান কিংবা অক্ষয় কুমারের মত তারকাদের ছবিও বক্সঅফিসে স্থান পাচ্ছে না। পড়ছে মুখ থুবড়ে। তাঁদের ছবিতেও যুক্ত হচ্ছে ‘বয়কট বলিউড’ ট্রেন্ড। সেই নিয়ে বিভিন্ন সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেতাদের সরব হতেও দেখা যাচ্ছে।
যেমন বর্ষীয়ান গীতিকার জাভেদ আখতার বলিউডের চলতি প্রবাহকে বলেছেন ‘ফাঁপা’ এবং অর্থহীন। এই ট্রেন্ড নিতান্তই সময় অপচয়। ছবির ওপর কোনও প্রভাবই বিস্তার করতে পারে না। তিনি এবং অভিনেতা অনুপম খের প্রায় একই সুরে বলেছেন, ছবি কদর পাবে কি পাবে না তা সম্পূর্ন ছবির ওপর নির্ভরশীল, এই ট্রেন্ড কোনও ক্ষতিই করেনি ছবির।
অভিনেতা অক্ষয় কুমার সরাসরি স্বীকার করেছেন, ছবি ব্যর্থ হওয়ার কারণ স্বয়ং অভিনেতাই। তাঁর সম্প্রতি কোনও সিনেমাই সাফল্য লাভ করেনি। সকল দোষ অভিনেতা নিজের কাঁধে নিয়ে বলেছেন, ‘দোষ আমারই!’ নিজের শতাংশ ভাগ উজাড় করে দেননি বলেই ছবি চলেনি, চলতি ট্রেন্ড ছবি ব্যর্থ হওয়ার কারণ নয়।
অপরদিকে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর ক্রুদ্ধ ভাবে বলেছেন, এই সকল ট্রেন্ড বলিউড বিদ্বেষীদের কাজ, যাঁরা বলিউডের ক্ষতি চায়।
কিন্তু সকলেই বলেছেন, ছবি গুণমানের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হলে তা সত্যি সমাদৃত হবে। এবং খুব শীঘ্রই বলিউড এই জটমুক্ত হয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে।