ভারতে নয়, ইয়েমেনে ১৯৫৭ সালের ১৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় ‘ধনকুবের’ মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ইয়েমেন থেকে ভারতে, ভুলেশ্বরে ঠাঁই হয়েছিল আম্বানি পরিবারের। ছিল এক দু-কামরার ঘর। সেই ঘর থেকেই আজকের আম্বানি হয়ে ওঠার লড়াই শুরু। উচ্চশিক্ষা লাভ না করেও, নিষ্ঠা এবং শ্রমের জন্য আজ তিনি বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিদের একজন। সম্প্রতি উদযাপিত হল তাঁর ৬৬ তম জন্মবার্ষিকী। ছেলে আকাশের (Akash Ambani) সঙ্গে তাঁকে দেখা গেল সিদ্ধি বিনায়কের মন্দিরে পুজো দিতে।
বিশ্বের কুড়ি জন প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তিদের মাঝে ভারতীয় এই ‘ধনকুবের’ এর নাম জ্বলজ্বল করে। শুনলে অবাক হতে হয়, বিপুল পরিমাণ ধন সম্পত্তির প্রাচুর্য থাকলেও মানসিকভাবে বেশ ঘরোয়া আম্বানি। এমনকী তিনি নিজের জন্মদিন ঘটা করে আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করার চেয়ে, মন্দিরে ঈশ্বরের শ্রী চরণে সমর্পণ করতেই বেশি পছন্দ করেন। তা বলে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জন্মদিনে মোটেই উদাসীন থাকেন না ‘রিলায়েন্স জিও’র স্রষ্টা। স্ত্রী নীতা আম্বানিকে (Nita Ambani) জন্মদিনে জেট প্লেন উপহার করা থেকে শুরু করে, এমন অনেক চমকপ্রদ আয়োজন করে থাকেন পরিবারের জন্য।
সবচেয়ে মজার কথা, আম্বানি তাঁর সন্তানদের কখনও প্রাচুর্যের মূল্য বুঝতে দেননি। সঠিক সহবতে মানুষ করেছেন তাঁদের। ‘পকেট মানি’ হিসেবে তাঁর সন্তানদের প্রাপ্য ছিল মাত্র পাঁচ টাকা। সঠিক নীতি শিক্ষায় সন্তানদের লালন করেছেন বলেই তাঁর মতই তাঁর সন্তানদের মধ্যে নম্রতা লক্ষ্য করা যায়।
দু কামরার ঘরে যে আম্বানির যাত্রা শুরু হয়েছিল জীবনের পথে, সেই আম্বানির যেকোনও অনুষ্ঠানেই বসে চাঁদের হাট। শুধুমাত্র দেশীয় নক্ষত্রদের উপস্থিতি নয়, বরং বিদেশী তারকাদের উপস্থিতিতে ঝলমল করে ওঠে পারিপার্শ্বিক আবহ। কিছুদিন আগেই উদ্বোধন হল তাঁদের একটি সাংস্কৃতিক প্রকল্প, ‘নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার’ (Nita Mukesh Ambani Cultural Centre) এর। হলিউড শিল্পী গিগি হাদীদ (Gigi Hadid) থেকে স্পাইডার ম্যান খ্যাত টম হলান্ড (Tom Holland) থেকে তাঁর বান্ধবী জেন্ডায়া (Zendaya), অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেই আনন্দ যজ্ঞে। সবচেয়ে বড় কথা, আম্বানি নিজ হাতে অতিথিদের খাদ্য পরিবেশন এবং সেবা যত্নের দায়িত্বে থাকেন। এমনকী, অতিথিদের পছন্দের খাদ্যাভ্যাসের কথাও তিনি ভোলেন না। পরিদর্শকের পক্ষ থেকে, মুকেশ আম্বানির জন্য রইল জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা, এবং অগাধ শ্রদ্ধা।