এক অসাধারণ সফর শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত (Swastika Dutta)। শেষ হল তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’ (Tomar Khola Hawa)। শেষ দিনের শুটিংয়ে অনুগামীদের সঙ্গে করে নিলেন মুহূর্ত ভাগ।
শহর থেকে বেশ অনেক দূরের এক প্রান্তিক গ্রামের লড়াকু মেয়ে ঝিলমিল। ছোটবেলায় হারিয়েছে মা’কে। সৎ মা তাঁর বিশেষ কদর না করলেও, বাবা এবং ভাই বোনদের নয়নের মণি সে। ‘বন্ধু’ বলতে রয়েছে একটি পুতুল। যাঁকে কথা বলিয়ে ঝিলমিল গ্রামের বাকিদেরও প্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রাণবন্ত মেয়েটির সঙ্গেই বিবাহ হয় গম্ভীর, রাশভারী, বয়সে বড় আবিরের। এই অসম প্রেম এবং তাঁদের নিয়ে আবর্তিত নানারকম ঘাত প্রতিঘাত নিয়ে গড়ে ওঠে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’র পটভূমি।
একজন ভেন্ত্রিলোকুইস্ট এর চরিত্রে অভিনয় করেন স্বস্তিকা। বলতে বাকি রাখে না, তাঁর অভিনীত চরিত্রটির নাম ঝিলমিল। তাঁর বিপরীতে আবিরের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা শুভংকর সাহা। প্রথম থেকেই তাঁদের রসায়ন মন ছুঁয়ে যায় দর্শকের। দাদা এবং বৌদি মারা যাওয়ার পর, পরিবারের দায়িত্ব পড়ে আবিরের কাঁধে। কাকা নয়, ‘বাবা’ হয়ে ওঠেন মৃত দাদা এবং বৌদির সন্তানদের। বয়সের তারতম্যের জন্য প্রথমদিকে তাঁর এবং ঝিলমিলের মধ্যে দাম্পত্যে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে নানারকম বৈপরীত্য দেখা গেলেও, পরে ততটাই মসৃণ হয়ে ওঠে তাঁদের চলার পথ। তাই দর্শকের মনে নিজেদের জায়গা প্রতিষ্ঠা করে নিতে বিশেষ সমস্যা হয় না।
গল্পে ‘টুইস্ট’ আসে, আবিরের তথাকথিত ‘মৃতা’ বউ অহনা, ফিরে আসার পর। আসলে মৃত্যুকে আড়াল করে, অহনা একের পর এক অনৈতিক এবং অবৈধ কার্যাবলী সাধন করছিল। তাঁকে কেন্দ্র করেই ঝিলমিল এবং আবিরের সংসারে ঘটতে থাকে একের পর এক বিপদ।
দর্শকদের অনুমান, অহনাকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের পরেই শেষ হবে এই ধারাবাহিক। কিন্তু প্রিয় ঝিলমিল এবং তাঁর পরিবারকে বিদায় জানাতে বিষন্নতা দেখা দিয়েছে ভক্তকুলের মধ্যে। ঝিলমিল, ওরফে স্বস্তিকা জানিয়েছেন, ভেন্ত্রিলোকুইস্ট থেকে সর্বকনিষ্ঠ শ্বাশুড়ি হয়ে ওঠার এই সফর তাঁর কাছে অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল। এই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত সকল কলাকুশলীর কথা তাঁর মনে পড়বে। এই ধারাবাহিককে ভালোবাসা এবং সম্মান জানানোর জন্য তিনি তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।