আমাদের দেহের অন্যতম প্রধান অঙ্গ চুল। কবি বা সাহিত্যিকরা এই চুলকে কেন্দ্র করেই যে কীভাবে এক মায়ার জগৎ সৃষ্টি করে ফেলেন, তা একেবারেই আশ্চর্যের নয়। কারণ চুল আমাদের দেহের অন্যতম প্রধান আকর্ষনীয় অঙ্গ। তাই চুলের যত্ন নিতে আমরা হয়ে উঠি মরিয়া। কিন্তু ইদানিং জীবনে অনিয়মিত জীবন যাপনের জন্য দেখা যাচ্ছে চুলের সমস্যা। ঘন ঘন মরশুম বদল (Season Change) বা দূষণের জন্য ঝরে যাচ্ছে আমাদের সাধের চুল। অনেকসময় অনেক ওষুধ খেয়েও সুরাহা হচ্ছে না। ব্যস্ত রোজনামচায় চুলের জন্য একটি দিন বের করাও হয়ে উঠছে দুঃসাধ্য! তবে? এখন উপায়? মনে রাখবেন, সমস্যা থাকলে তার সমাধানও আছে।
চুল পড়া রোধ করতে আজ আপনাদের জানাব সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকা, যা একেবারেই ব্যয় সাধ্য নয়। বরং বেশ সহজেই পালন করতে পারবেন এই নিয়মগুলি।
মূলত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনি করতে পারেন নাইট হেয়ার কেয়ার। এর জন্য বেশ কিছু ধাপ আপনাকে মেনে চলতে হবে।
সারাদিন অনেক ধুলো ময়লা ঘাঁটার পর চুলে জট পাকিয়ে যায়। চিরুনি নয়, বরং ভালো ব্র্যান্ডের সিরাম, সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে সেই জট ছাড়িয়ে নিন। আঙুল দিয়ে ছাড়ানোর পর ব্যবহার করুন মোটা এবং বড় দাঁতের চিরুনি। ভালো করে চুল আঁচড়ে নিয়ে, শেষে সরু এবং ছোট দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল সেট করে নিন।
চুল আঁচড়ানোর পর, নরম হাতে সারা স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন। স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এর ফলে চুলে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছবে এবং বৃদ্ধির সঙ্গে ঘনত্বও ভালো হবে।
মাথায় রাখবেন, চুল বেশি ঝরলে, ভুলেও টেনে চুল বাঁধবেন না। কারণ এই সময় চুলের গোড়া দুর্বল থাকে। ফলে টেনে চুল বাঁধলে গোড়ায় টান পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ঢিলে করে বিনুনি বা হালকা খোপা করে নেওয়াই শ্রেয়।
সপ্তাহে তিনদিন স্নানের আগে তেল মেখে, শ্যাম্পু করে নিন। ভুলেও রাতে মাখবেন না। কারণ এর ফলে চুলের গোড়ায় মৌল জমবে যা চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।
সর্বোপরি নিজের আলাদা চিরুনি, এবং পরিচ্ছন্ন সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এই কটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই আপনার চুল থাকবে সুরক্ষিত এবং স্বাস্থ্যজ্জল।