ওজন কমানোর এই পানীয়গুলো করছে বাজিমাৎ! ডায়াবেটিস থাকলে তাও সারায়। দেখে নিন বিস্তারিত।

বর্তমানে ওজন কমানো সবার চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এখন তো আবার ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। তাহলে আজ যদি এমন কিছু পানীয়র উপায় বলি যাতে ওজন ও ডায়াবেটিস, দুটিই থাকবে নিয়ন্ত্রণে তাহলে? দেখেই নিন নাহয়।

করলার জুস:
করলার জুস সুগারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই জুস সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন যে করলাতে ভিটামিন A এবং ভিটামিন C আছে এবং এর সাথে প্রচুর আয়রনও রয়েছে। করলার রসে রয়েছে পলিপেপটাইড-পি, যা ইনসুলিনের মতো কাজ করে এবং শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। করলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

তরমুজের রস:
গরমকালে তো বাজারে ঢেলে বিক্রি হয় তরমুজ কিন্তু এর জুস বানিয়ে খেলে যে উপকার হয় বিশেষ, তা হয়তো সবাই জানেন না। এই তরমুজ প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট সহ অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন A এবং ভিটামিন C এর একটি ভাল উৎস। তরমুজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায়, বিপাক বাড়ায় এবং ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।

পালং শাকের জুস:
পালং শাক খেতে সুস্বাদু এবং স্টার্চ ছাড়া সবুজ শাকসবজিতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যার কারণে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পালং শাক খনিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটি পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা হৃদরোগ, রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্বাদে মিষ্টি, কিন্তু সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

গাজরের জুস:
গাজরের রস নিয়মিত পান করলে সুগার লেভেল বাড়ে না এবং শরীর অনেক উপকার পায়। এ ছাড়াও গাজরে বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিন এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তবে এই জুস অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

আমলার জুস:
এই জুস সুগারের জন্য বিশেষ উপকারী । আমলা ভিটামিন সি এর একটি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি ক্রোমিয়ামেরও একটি ভাল উৎস। এই খনিজটি কার্বোহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং চিনির মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। আমলার রস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হজমে সাহায্য করে। এটি লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

যে কোনো রকম জুস সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *