Tips for Glowing Skin: দুধের মত ফর্সা হবে ত্বক পেতে করুন এই কাজটি।

খাতায় কলমে বর্ষা ঢুকলেও সেভাবে বৃষ্টি না হবার জন্য কমেনি গরম। আর গরম ও বৃষ্টি দুইয়ের কারণে বারোটা বাজছে ত্বকের। ক্রমশ জেল্লা হারাচ্ছে ত্বক। বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি থাকে। ফলে যাদের তৈলাক্ত বা শুষ্ক ত্বক তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। সেই সঙ্গেই ব্রণ, শুষ্কতার সমস্যা তো রয়েছেই। তাই এই সময় ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

কিন্তু বছরের পর বছর প্রতি বর্ষায় এই সব ঝামেলা না নিয়ে বরং জেনে নিন ঠিক কী কী করলে ত্বক ঝকঝকে থাকবে। আপনার ত্বক ও ভালো থাকবে তার সঙ্গে আপনিও মন ভরে বর্ষা উপভোগ করতে পারবেন। দেখে নিন সেই সব টিপস যা এই বর্ষাকালে আপনার ত্বকের সমস্যা সহজে দূর করবে।

এই সময়ে ত্বকের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি এক্সফোলিয়েশনও প্রয়োজন। এরই সঙ্গে প্রাথমিক একটি স্কিনকেয়ার রুটিন আপনাকে ফলো করতে ভুলবেন না। এর জন্য বাড়িতে বানানো ক্রিমও বেশ উপকারী। তাই বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন এই ক্রিম, জেনে নিন ঝটপট।

এই ফেস ক্রিম বানানোর জন্যে আপনার কি কি প্রয়োজন দেখে নিন:
১) অ্যালোভেরা জেল – ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে , অ্যালোভেরা আপনার ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে। এছাড়াও অ্যালোভেরায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যমেটরি গুণ রয়েছে। তাই ত্বকের যে কোনও সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রায় ম্যাজিকের মতোই কাজ করে অ্যালোভেরা।

২) ভিটামিন ই অয়েল – ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৩) রোজ এসেনশিয়াল অয়েল- রোজ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো যে কোনও সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।এতে ত্বকের সংক্রমণও সহজেই এড়ানো যাবে।

৪) গোলাপ জল- ২০১১ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, গোলাপে পাওয়া যায় ভিটামিন সি এবং ফেনোলিকস। গোলাপের নির্যাসে অ্য়ান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে গোলাপ জলের জুড়ি মেলাভার।

এবার ফেস ক্রিম বানানোর পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক:
১) একটি পাত্রে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিন। ২)এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন গোলাপ জল। খেয়াল রাখবেন, এই মিশ্রণ যেন খুব পাতলা না হয়।
৩) দুটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে দিন ক্রিমে।
৪) সবশেষে রোজ এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। ক্রিম তৈরি আপনার।

ক্রিম তৈরি করার পরে আপনি এক সপ্তাহ মতো ব্যবহার করতে পারেন। তাই প্রচুর পরিমাণে বানানোর কোনও প্রয়োজন নেই। একটি কাচের শিশিতে সংরক্ষণ করুন।

Scroll to Top