পাখি নাম শুনলেই মনে হয় এক স্বাধীনতা সমার্থক হলো এই প্রাণীটি আকাশে ঝড় সেই স্বাধীন সম্বল তবুওতো পাখিকে আত্মরক্ষার জন্য সন্তান লালন পালনের জন্য কিংবা দিনশেষে ক্লান্ত শরীরের বিশ্রামের জন্য আশ্রয় হিসেবে বাসা দরকার হয় প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজ আপনাদের পাখির বাসা তৈরি কিছু অজানা এবং মজার তথ্য জানাবো যা শুনলে “পাখিআপনারা যারপরনাই অবাক হবেন বাসা তৈরিতে পাখির শৈল্পিক গুন মানুষের তুলনায় কোনো অংশে কম নয় বরং মানুষ ও পাখির বাসা তৈরীর কৌশল রক্ত পড়তে আগ্রহী হন শুনলে অবাক হবেন বন্ধুরা, পাখি তার পছন্দের সঙ্গীকে আকৃষ্ট করার জন্য নিজের শৈল্পিক গুনে নির্মিত বাসাকে সজ্জিত করে আর কিছু পাখি আছে যাদের বাসায় একটি দুটি পাখি নয় বরং থাকতে পারে পাঁচশোটিরও অধিক পাখি।
আবার অনেক পাখি আছে, যারা গাছে নয়, বরং মাটিতে ইঁদুরের গর্তের মধ্যে বাসা বানিয়ে থাকে। আজকের ভিডিওতে, দর্শক বন্ধুদের নিয়ে যেতে চলেছি, সেইসব মজাদার পাখির অজানা বাসার ভেতরে।
১) Sociable weaver– একটি নয়, বরং অনেক গুলি পাখি মিলে তাদের বাসা বানায়। এই বাসাগুলির জন্য, পাঁচ থেকে একশোটি গর্ত তৈরি করে, যেখানে দশটি থেকে পাঁচশোটি পাখি একসঙ্গে থাকতে পারে। এই পাখিগুলি বাসা তৈরির জন্য, ঘাস ও খড়কুটো ব্যবহার করে। গাছের আকৃতির সঙ্গে এই পাখির বাসার সংখ্যার তারতম্য ঘটে। যেমন, গাছ যদি বড় হয়, তাহলে এই পাখিগুলির বাসার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। অনেকগুলি বাসা থাকার কারণে, অন্যান্য পরিযায়ী বা অস্থায়ী পাখিরাও এই বাসাগুলি ব্যবহার করে বিশ্রাম নেয়। দূর থেকে এই বাসা গুলি দেখলে মৌচাকের মত দেখতে লাগে।
২) Falocon– এই পাখিগুলি সাধারনত পাহাড়ে দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ি এই সদস্যরা বাসা বাঁধে পাহাড়ের খাঁজে। অন্যান্য পাখিদের মত শৈল্পিক গুণ সমৃদ্ধ বাসা এই পাখি বানায় না। এই পাখি গুলি খুব ছাপোষা ভাবে তাদের বাসা নির্মাণ করে। এই বাসগুলিতে কখনো মাটি থাকে, আবার কখনো বা মাটির পাশাপাশি ঘাসও থাকে। বিস্ময়ের বিষয়, ফ্যালকন কখনো নিজের বাসা নিজে তৈরি করেন। পূর্বে তৈরি করা কোনো অন্য পাখির বাসা এরা দখল করে নেয়। পুরুষ পাখি এবং স্ত্রী পাখি মিলে সেই বাসাটিকে নিজেদের মতো করে নির্মাণ করে।
৩) Engineer Bird– আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ের জাতীয় পাখি Rufous hornero কে ইঞ্জিনিয়ার বার্ড বলা হয়ে থাকে। এই পাখিগুলি দক্ষিণ পূর্ব আমেরিকায় দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত এই পাখিগুলি পরিশ্রমী গোছের হয়। মাটি এবং ঘাসের মিশ্রণ দিয়ে খুব যত্ন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে এরা নিজেদের বাসা বানিয়ে থাকে। এই বাসায় লক্ষণীয় হলো তাদের তৈরি প্রবেশদ্বারটি। যেটি আকারে ছোট্ট হয়। কেবল একটিমাত্র পাখিই ওই দ্বার দিয়ে ভেতরে ঢোকা বা বাইরে বেরোনো করতে পারে। একটি বাসায় একবার থাকা হয়ে গেলে, তারা এই বাসা ছেড়ে, আবার নতুন বাসা তৈরির জন্য উদ্যত হয়। তখন তাদের তৈরি সেই পুরনো বাসায় অন্যান্য পাখিরা বসবাস করতে আসে।
৪) Woodpecker– এই পাখিগুলিও বেশ পরিশ্রমী হয়। নামেই ইঙ্গিত দেওয়া আছে, এরা কাঠ ঠোকরা প্রকৃতির পাখি। তীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে গাছে গভীর থেকে গভীরতর গর্ত করে এরা শিকারের সন্ধান করতে থাকে। অনবরত ঠোঁট দিয়ে করা আঘাতের জন্য এরা গাছগুলিকে বাকলহীন করে তোলে। এদের ঠোঁট এতই দ্রুততার সঙ্গে গাছে আঘাত করে, যার পরিমাণ হয় এক সেকেন্ডে বিশ বার। গাছের কোটরই হয় সাধারণত এদের আশ্রয় কেন্দ্র। সেখানেই তারা নিজেদের বাসা তৈরি করে থাকে। বলাই বাহুল্য, গাছের কোটর গুলি তারা তাদের ঠোঁটের ব্যবহারেই নির্মাণ করে। বাসা গুলি শক্তিশালী, বিপন্মুক্ত ভাবে তৈরি করতে তাদের তিন সপ্তাহ মত সময় লাগে।