স্কুলে পড়াকালীন, বাংলা তাঁর প্রথম ভাষা ছিল না। হিন্দি এবং ইংরাজীই ছিল সংযোগের মাধ্যম। কখনও ভাবেননি, রুপোলি পর্দার জগৎ তাঁর কোনওদিন আপন হয়ে উঠবে! পরিবারের তাগিদে, মাত্র ষোলো বছর বয়সে নির্বাচিত হন প্রথম ধারাবাহিক “রাজযোটক’ (Rajjotok) এ। বাংলার প্রতি দুর্বলতাকে জয় করে, সফল ভাবে সেই ধারাবাহিকের হাত ধরে টলি সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হন মুকুন্দপুরের মেয়ে অনামিকা চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty)।
প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন, প্রানবন্ত, ছোটফটে কিশোরী ‘বনি’, ওরফে অনামিকা। সেই ধারাবাহিকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুইই ভূমিকাতেই তাঁকে পেয়েছেন দর্শক। “রাজযোটক” এর পর বিভিন্ন ধারাবাহিকে নিজের জাত চেনাতে থাকেন অনামিকা। এমনকী দীর্ঘ বিরতির পর স্টার জলসার বিখ্যাত ধারাবাহিক “এখানে আকাশ নীল” (Ekhane Aakash Neel) এর পুনঃনির্মাণে দেখা গেছিল তাঁকে। তাঁর অভিনীত চরিত্র ‘হিয়া’ বেশ ‘চ্যালেঞ্জিং’ হয়ে ওঠে তাঁর পক্ষে। এমনকী সেই সময় স্বাস্থ্যবতী হওয়ার দরুন শারীরিক কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাঁকে। তবুও অনামিকা নিজের প্রতি বিশ্বাস না হারিয়ে, অভিনয়ের জাদুবলে মুগ্ধ করেছিলেন বাঙালি দর্শককে।
চলচ্চিত্র থেকে ওয়েব সিরিজ, সর্ব ক্ষেত্রেই অনামিকা প্রমাণ করেছেন তাঁর দক্ষতা। এমনকী যে সময় ওয়েব সিরিজের চল সেভাবে শুরু হয়নি, সেই সময় হইচই অরিজিনালসের (Hoichoi Originals) সিরিজ, ‘হোলি ফাঁক’ (Holi Faak) এ সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অনামিকা।
গতকাল ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন। ছাব্বিশ বছরে পা রাখলেন তিনি। অভিনয় জীবনেও সম্পন্ন হয়েছে দশ বছর। এরই মাঝে তাঁর হৃদয় ভেঙেছে, আবার এরই মাঝে তাঁর জীবনে নতুন ভোরের ‘উদয়’ হয়েছে। আসলে অভিনেতা উদয় প্রতাপ সিংয়ের (Uday Pratap Singh) সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। টেকটকির পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর আগাম জীবনের জন্য রইল অসংখ্য শুভেচ্ছা।