Weight Loss Drinks: পুজোর আগে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফিট হতে চান? তাহলে অবশ্যই পড়ুন এই প্রতিবেদনটি।

ব্যস্তময় জীবনে শরীরচর্চা করার সময় পাওয়া যায় না।অনেকে আবার শরীরচর্চা, ডায়েট করেও ওজন কমাতে পারেন না। কিন্তু পুজোর আগে তো অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফিট হতেই হবে। অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমাতে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, আজ তাঁদের জন্যই এই প্রতিবেদন। জেনে নিন যে কিভাবে নিরোগ থেকেও আপনি ওজন কমাতে পারেন তাও পুজোর আগেই।

কারিপাতা সকলেই চিনি। রান্নার মশলা হিসেবে ব্যবহৃত এই পাতা যে আপনার শরীরের অবাঞ্ছিত ওজন কমাতেও সক্ষম তা কি আপনি জানতেন? জানতেন না তো? এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও কার্যকর, পাশাপাশি এটি অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। আসুন জেনে নিই কারি পাতার রস কিভাবে ব্যবহার করা যায় এবং কি কি উপকার পাবেন।

১) পেটের চর্বি কমানো:

প্রথমেই বলি যে কারিপাতার রস আপনার পেটের চর্বি কমানোর খুব ভালো একটি উপায়। এই পাতাগুলি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে, যার মধ্যে Alkaloids থাকে। এগুলির ওজন হ্রাস এবং Lipids কমানোর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এর রস খেলে Colesterol এবং Triglycerides এর মাত্রা কমে।

২) ডায়াবেটিসে কার্যকর:

Diabetic রোগীদের ক্ষেত্রে এই কারিপাতার রস বিশেষ উপকার করে। নিয়মিত ডায়াবেটিস রোগীরা এই রস পান করলে এটি তাঁদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় না।

৩) ভাল হজম:

কারি পাতার রস পান করলে হজম প্রক্রিয়ার দ্রুত উন্নতি ঘটে, যা গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে না এবং অন্ত্রের উপকার করে আমাদের পেট পরিষ্কার রাখে।

৪) শরীর ডিটক্স করবে:

কারি পাতার রস আমাদের শরীর থেকে প্রাকৃতিকভাবে টক্সিন দূর করে। শুধু রস না, আপনি চাইলে এই পাতাগুলো কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরকে ডিটক্স করতে অনেক সাহায্য করে।

এ তো গেল কারিপাতার রস খেলে কি কি উপকার হয় তার কথা। কিন্তু এই রস বানাবেন কিকরে? দেখে নিই আসুন।

১. প্রথমে কয়েকটি কারি পাতা নিয়ে জলে ফুটতে দিন।

২. প্রথমে অল্প আঁচে এবং পরে বেশি আঁচে আরও একটু ফুটতে দিন।

৩. এবার এতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন।

৪. ব্যস রেডি। এখন এটি জুস বা চায়ের মতো পান করুন।

৫. খালি পেটে রস পান করলে তবেই এর উপকার চোখে পড়বে।

৬. শরীরচর্চা করার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে এই রস পান করতে পারেন।

Scroll to Top