PCOD হলো বর্তমানে এক মারাত্মক অসুস্থতা মেয়েদের জন্য। মেয়েরা চুল ঝরে পড়া, ওজন বৃদ্ধি সহ নানা সমস্যায় ভোগেন। শরীরে নানা রোগও বাসা বাঁধে।কিন্তু ওজন কমানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়না সেভাবে এই PCOD এর কারণে। কিন্তু পুজোর আগে তো ফিট হতেই হবে। কি করবেন তাহলে? দেখা যাক কিভাবে PCOD থাকলেও ওজন কমানো সম্ভব।
আমরা সবাই জানি যে একটি সময়ের পর ছেলে বা মেয়ের শরীরে Puberty ধাক্কা মারে এবং মেয়েরা প্রতিমাসে মাসিক চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই মাসিক চক্রে প্রত্যেক মেয়ের শরীরের দু’টি ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে ডিম বেরোতে থাকে। PCOD এর ক্ষেত্রে Ovary সাধারণত অপরিণত কিংবা আংশিক পরিণত ডিমে ভরে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে তা জমে জমে সিস্টে পরিণত হয়।
এই সিস্টের নেপথ্যে কারণ হিসেবে বলা যায় নিয়মিত বাইরের তেলমশলাদার খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক চাপ। PCOD এর ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়। পেটে চর্বি জমে ও ওজন বাড়ে; বন্ধ্যাত্ব এবং চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
কিন্তু PCOD থাকলেও ওজন কমানো যায় দেখে নিন।
১) খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমান। এর বদলে ফাইবারযুক্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং পরিমিত প্রোটিন খেতে হবে। সাধারণ ভাত-রুটির বদলে ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড খেতে হবে, যাতে আছে লো গ্লাইসেমিক রেট। রান্নায় ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। সবুজ শাক, আনাজপাতি বেশি করে খাওয়া দরকার। তবে আম, কলা, আতা, আঁখ, কাঁঠাল বাদ দিলে ভাল হয়। ভাল মানের প্রোটিনও জরুরি। ডিম খেতে হলে কুসুম বাদ দিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত তেলযুক্ত মাছ নয়। দুধ খেলে লো ফ্যাট মিল্ক নিন। এ ছাড়া ডাল, ব্রকোলি, বেরি নিয়মিত খেতে পারেন। কফি পরিবর্তে চা খান।
২) Breakfast Skip করবেন না। খালি পেটে থাকলে ওজন কমেনা এটা মনে রাখবেন। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য খাবার পরিমাণ কমিয়ে নেন, দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকেন— এই অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য হানিকর। এর ফলে বিপাকহার কমে যায়, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে। সকালে প্রোটিন-সমৃদ্ধ প্রাতরাশ করুন।
৩) নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক কসরতের অভ্যাস করুন। এছাড়াও ব্রিস্ক ওয়াকিং, যোগাভ্যাস, জগিং, স্কিপিং, সাঁতার কাটা— নিয়ম করে যে কোনও কিছু রোজ করতে হবে। ওজন যত কমবে, পেটের মেদ যত ঝরবে, ততই সুস্থ থাকবে শরীর। চেষ্টা করুন ভারী কিছু খাওয়াদাওয়ার পরেই ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নেওয়ার। হজম ভালো হবে।