শীতের আমেজ কমে এসেছে ধীরে ধীরে। সকালের আর রাতের দিকে একটা শিরশিরে ভাব দেখা দিচ্ছে। শীতের এবার বিদায় নেওয়ার পালা। আর এর মধ্যেই আবহাওয়াবিদদের সতর্কবাণী শুনে চিন্তার ভাঁজ কপালে। ঠিক কি বললেন আবহাওয়াবিদরা আসুন দেখি।
একটি নতুন পশ্চিমীঝঞ্ঝা ১৮ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে পশ্চিম হিমালয়ের কাছে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে একটি ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন অব্যাহত রয়েছে।
১৩০ নট এর কাছাকাছি বাতাসের গতি সহ একটি জেট স্ট্রিম ভারতীয় অঞ্চলে ৩০ এবং ৩৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং বিদর্ভের অনেক জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে।
গুজরাটের কিছু অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। উত্তর উপকূলীয় ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্ন হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় গিলগিট-বালতিস্তান, মুজাফফরাবাদ, লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে বিচ্ছিন্ন হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ অংশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।
তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে , উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখতে পাওয়া যাবে ভোরের দিকে। পুরুলিয়া সমেত বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা মাঝারি থাকবে এবং আকাশ থাকবে মেঘলা তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘ কেটে যাবে।
আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে মানুষ বেশিমাত্রায় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তাই সবাইকে অত্যন্ত সাবধান থাকতে হবে। গরম জামা কাপড় এখুনি পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করলে চলবে না। হালকা গরম কিছু নিতেই হবে গায়ে আর গরম জলে স্নান করবেন অবশ্যই। রোজ সকালে মধু ও তুলসীপাতা খাওয়া অভ্যাস করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।