তিন অসম বয়সী পুরুষ; রাজু, শ্যাম এবং বাবু ভাইয়া! খুব সাদামাটা জীবন যাপন করলেও, তাঁদের জীবন আবর্ত হয় নানা অঘটন নিয়ে! বলাই বাহুল্য, সেই অঘটন কিন্তু রুপোলি পর্দার হলেও, মনের আরাম দেয় অ-রুপোলি জগতের মানুষগুলোকে। এই তিন সহচর পর্দায় এলেই, হাসির ফোয়ারায় ভরপুর হয়ে ওঠে পারিপার্শ্বিক মহল। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কথা হচ্ছে ‘হেরাফেরি’ ছবির চরিত্রদের নিয়ে।
রুপোলি পর্দায় কোনও ‘ভালগারিটি’ ছাড়া, নির্মল আনন্দের উদ্রেক ঘটিয়েছেন পরিচালক নিরাজ ভোরা। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, পরেশ রাওয়াল। একটি মেসের অধিবাসী তাঁরা, আর রোজকার জীবনে তাঁদের নানারকম ঘটন অঘটন সাধারণ মানুষের খোরাক হয়ে ওঠে। একেবারে নির্মেদ, হাস্যরসে ভরপুর এই উপস্থাপনা ২০০০ সালে প্রথম মন ছুঁয়ে যায় দর্শকের। তারপর জনপ্রিয়তার কারণে ২০০৬ সালে মুক্তি পায়, এই ছবির দ্বিতীয় ভাগ ‘ফির হেরাফেরি’।
প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গিয়ে আবার নতুন রূপে মানুষকে হাসির ধারায় ভাসাতে আসছে বাবু ভাইয়াকে নিয়ে রাজু এবং শ্যাম। যদিও ‘হেরাফেরি’র এই তৃতীয় সফরের একটি আকর্ষন নিয়ে জোর কদমে চলছিল গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছিল, বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান নাকি থাকবেন এই ছবিতে। সম্প্রতি এই ধারণাকে সত্য বলে জানিয়েছেন সকলের প্রিয় ‘বাবু ভাইয়া’ অর্থাৎ পরেশ রাওয়াল।
চলতি বছর কার্তিক, অক্ষয় অভিনীত ‘ভুলভুলাইয়া’ ছবির সিক্যুয়েলে অভিনয় করেন মুখ্য চরিত্রে। যদিও ‘হেরাফেরি’ তে অক্ষয়ের বিকল্প হয় না, এ কথা স্বীকার করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে ছবির কলাকুশলী সকলেই। অনেকেই তাই ‘ভুলভুলাইয়া ২’ এর সাফল্যের পর ভাবছিলেন, অক্ষয়ের বদলে রাজুর চরিত্রে হয়ত কার্তিককেই নির্বাচন কর হয়েছে। কিন্তু কার্তিক কোন চরিত্রে থাকবেন সেই নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।