ঝাল ঝাল গোটা কাঁচা লংকা ভাতে হোক কি মুড়ি বা রুটিতে হোক, সবসময়ই খাদ্যের গুনে শ্রেষ্ট এবং তরকারিতে কাঁচা লংকা না দিলে তো স্বাদটাই আসেনা। কিন্তু এই কাঁচালংকা কাটলে বা বাঁটলে হাত জ্বালা করে অনেকেরই। হাতের ঝাল না যাওয়া অবধি ভুল করেও যদি চোখে আঙুল দিয়ে ফেলেন তাহলে আর দেখতে হবেনা! লংকা ছাড়া তো থাকার প্রশ্নই নেই তাহলে এখন উপায়? উপায় অবশ্যই আছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি?
কাঁচা লঙ্কা খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই লঙ্কা অনেক সময় ভীষণ রকম কষ্টের সৃষ্টিও করে। লঙ্কা কুচি করলেই বা কাটলে অথবা বাটলে হাত জ্বালা করে। আর সেই হাত যদি কোনওভাবে মুখে চলে যায় তাহলে তো আর রক্ষে নেই। মুখ, চোখ জ্বালা করে, হাত লাল হয়ে যায়। এই জ্বালা কিছুতেই কাটে না। ঠান্ডা জলে হাত ধুয়েও শান্তি নেই।এই জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন জেনে নিন।
অ্যালোভেরা জেল:
কাঁচা লঙ্কা কাটার পর যদি হাত জ্বালা করে তবে এই জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে হাতে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। লাগানো খুব সহজ।যে জায়গায় জ্বালা করছে সেখানে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। নিমেষের মধ্যে আরাম পাবেন।
দুধ বা দই দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন:
লঙ্কা কাটা বা বাটার পর যদি হাত জ্বালা করে তাহলে দুধ বা দই দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে পারেন। নিমেষের মধ্যেই স্বস্তি পাবেন। তবে গরম না, ঠান্ডা দুধ ব্যবহার করবেন। দই সাধারণত ফ্রিজেই থাকে। তাই ঠান্ডা থাকে। কিছুক্ষণ হাতে মালিশ করে তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা তেল:
হাত জ্বালা করলে ঠান্ডা তেল লাগান। নারকেল তেল বা বাজার চলতি বিভিন্ন সুগন্ধি তেল ব্যবহার করুন। সর্ষের তেল না।
মধু লাগান:
জ্বালা করছে যে জায়গায় সেখানে মধু লাগান। আরাম পাবেন নিমেষে। মধু লাগিয়ে একটু পরেই ধুয়ে ফেলুন।
বরফ ঘষুন:
হাতের মধ্যে বরফ নিয়ে ঘষতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে বেশিক্ষণ ধরে না ঘষলে জ্বালা কমবে না।