আধারের বায়োমেট্রিক লক হয়ে গেলে কি কি সমস্যা হয়? জানুন বিস্তারিত।

বর্তমান সময়ে ভারতীয়দের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হলো আধার কার্ড। চাকরি, শিক্ষা, ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয় আধার কার্ডের। অনেক সময় এটি আইডেন্টিটি প্রুফ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এজন্য আধার কার্ড অবশ্যই আমাদের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।

আধার কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock/Unlock) বা বায়োমেট্রিক আনলক। সামান্য কিছু ভুলের জন্য অনেক সময় আমাদের আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ডেটা লক হয়ে যেতে পারে। তখন আমাদের কি কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে এবং এর সমাধান কি তা জেনে নিন এখানে।

আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লকিং বা আনলকিং এমন একটি পরিষেবা যেটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তাদের বায়োমেট্রিক ডেটা লক এবং সাময়িকভাবে আনলক এর অপশন দেয়। মূলত একজন আধার কার্ড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বা প্রাইভেসি বজায় রাখার জন্য এই ফিচারটি দেওয়া হয়।

সাধারণত আমাদের মুখের ছবি, আঙুলের ছাপ বা চোখের মনির মাধ্যমে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন বা ভেরিফিকেশন এর পদ্ধতি হয়ে থাকে। একবার যখন আধারের বায়োমেট্রিক লক হয়ে যায়, তখন এই সমস্ত অপশনের সাহায্যে আধারের বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন করা সম্ভব হয় না।

একবার বায়োমেট্রিক আনলক হয়ে গেলে এই সেফটি ফিচারটি তারা আর ব্যবহার করতে পারবেন না ফলে যে কেউ আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এবং বায়োমেট্রিক লক থাকলে অন্য কেউ আপনার এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারবেন না।

যদি কখনো আপনাদের আধার কার্ড এমনভাবে লক হয়ে যায় যে সেই সমস্ত তথ্য দিয়ে আপনারা আধার কার্ড এক্সেস নিতে পারছেন না, তখন আধার কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বায়োমেট্রিক আনলক করতে হয়। এছাড়া স্থানীয় আধার সেবা কেন্দ্র বা m Adhaar এর মাধ্যমেও এই কাজটি করতে পারবেন।

আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর অবশ্যই রেজিস্টার্ড হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল নম্বর রেজিস্টার না থাকলে প্রথমে আপনাকে মোবাইল নম্বরটি রেজিস্টার করার ব্যবস্থা করতে হবে তারপরেই সমস্ত প্রসেসটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *