২০২২ সালেও কোনো স্মার্টফোন সম্পূর্ণ waterproof নয়!

ফোন নির্মাতারা ওয়াটারপ্রুফ ফোন (Waterproof Phone) বাজারে আনলেও সেটির কিছু সমস্যা থেকে গেছে। এখনো ওয়াটারপ্রুফ ফোনে যদি কিছু পরিমাণ জল প্রবেশ করে, সেটা পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারছে না ফোনটি। তবে ওয়াটারপ্রুফ ফোন জলের জন্য সম্পূর্ণরূপে দুর্ভেদ্য। Samsung company তার গ্যালাক্সি ওয়াটারপ্রুফ ফোনের জন্য মিথ্যা বিজ্ঞাপন উপস্থাপন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে।

এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত A$১৪ মিলিয়ন জরিমানা করেছে, তা প্রায় ভারতীয় টাকায় ৭৬ কোটি টাকা। টেক জায়ান্ট স্বীকার করে নিয়েছে, গ্যালাক্সি ফোনগুলি যদি জলে পড়ে যায়, তাহলে চার্জিং পোর্টগুলি ক্ষয় হতে পারে এবং তার সাথে ফোনগুলি কাজ করাও বন্ধ করে দিতে পারে, যদি ভিজে অবস্থায় ফোনগুলিতে চার্জ দেওয়া হয়। এই একই অপরাধে ২০২০ সালে ইতালিতেও জরিমানা করেছিল অ্যাপল কোম্পানির।

তারা অ্যাপেল আইফোন ওয়াটারপ্রুফ নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি করেছিলেন। এই কারণেই তাদের €১০ মিলিয়ন, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩ কোটি জরিমানা হয়েছিল। এটা খুব সাধারন ব্যাপার ফোন যদি জলে পড়ে যায় তাহলে সেটি নষ্ট হয়ে যাবে। ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায় ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা তাদের ওয়াটারপ্রুফ ফোন জলে ফেলে দিয়েছেন এবং তারা সেটা অনুরূপ ফলাফল পেয়েছেন। তবে সেই বিষয় নিয়েও এখন মতের মিল রয়েছে। আসলে ওয়াটারপ্রুফ ফোনগুলোতে জলবিরোধী বনাম জল প্রতিরোধী একটি রেটিং সিস্টেম আছে, যা কঠিন পদার্থ (ধুলো) এবং তরল পদার্থ (জল) এর বিরুদ্ধে ডিভাইস প্রতিরোধের পরিমাপ করতে ব্যবহূত হয়, একে বলা হয় ইনগ্রেস প্রোটেকশন (আইপি) রেটিং।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *