একের পর এক বিতর্ক পিছু ছাড়ে না শিক্ষা পর্ষদকে এবং তার মধ্যেই টেট পরীক্ষার আগে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল মালদার ইংরেজবাজারের নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলে (Nibedita Girls’ High School)! নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলের (Nibedita Girls’ High School) প্রধান শিক্ষিকা (Head Mistress) সোমা ভাদুড়ির (Soma Bhaduri) কাছে পুরো ঘটনাটি বিশদে জানতে চাইলে তিনি জানান, শুক্রবার কিছু যুবক স্কুলে ঢুকে জোর করে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ও হেডফোন (Headphone) রেখে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
আগামীকাল টেট পরীক্ষা (TET Examination) আর তাতে প্রায় সাতলক্ষ পরীক্ষার্থী বসবেন পরীক্ষা দিতে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ও কলেজে পড়েছে পরীক্ষাকেন্দ্র। দুর্নীতি প্রতিরোধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেলোনা।
প্রধান শিক্ষিকা জানান,”শুক্রবার বিকেলে চারটে নাগাদ স্কুলে শুধু আমি আর কয়েকজন শিক্ষাকর্মী ছিলাম। বাকিরা তখন চলে গেছেন। হঠাৎ দেখি কয়েকজন যুবক হুড়মুড়িয়ে স্কুলে ঢুকে পড়লো। তাদের মধ্যে কেউ করিডোর ধরে ছুটছে আবার কিছুজন সানসেডে ওঠার চেষ্টা করছে। অচেনা যুবকদের স্কুলে ঢুকতে দেখে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের ওই যুবকেরা জানায় যে তারা স্কুলের শৌচাগার (Toilet) ব্যবহার করতে চায়। আমি বলি যে এটা মেয়েদের স্কুল, শৌচাগার (Toilet) ব্যবহার করার জায়গা নয়। যখন কথা চলছিলো, তারই মধ্যে একজন যুবক প্লাস্টিকে মোড়া কিছু একটা দোতলায় ছুঁড়ে মারে। স্কুলের এক কর্মী তৎক্ষণাৎ গিয়ে দেখেন যে তার মধ্যে রয়েছে একটি মোবাইল ফোন (Mobile Phone) এবং একটি হেডফোন (Headphone)।”
এই পুরো ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।ঘটনার কথা স্থানীয় ইংরেজবাজার থানায় জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা (Head Mistress) সোমা ভাদুড়ি (Soma Bhaduri)। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে টেট পরীক্ষায় কারচুপি করার জন্যই কিছু পরীক্ষার্থী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।