প্রায় সকলের বাড়িতেই ঘৃতকুমারী বর্তমান। ত্বকে দাগ ছোপ বা পোড়া দাগ তুলতে কিন্তু এই গাছের জেল খুব উপকারী। এই জেল ঠিকভাবে ব্যবহার করলে বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন সংস্থার ক্রিম বা লোশন আর কিনতে হবেনা।
কী ধরনের প্রসাধনী আপনার ত্বকে যাবে সেই নিয়ে কত চর্চা চলে। কোনটা আপনার ধরনের ত্বকের জন্য ভাল, সে সব জেনে তবেই সানস্ক্রিন বা অন্যান্য ক্রিম কিনতে বলেন চিকিৎসকেরা। তা সত্ত্বেও এই ক্রিম মেখে রোদে বেরোনোর পর মুখে কালচে ছোপ পড়া, র্যাশ হওয়া, তেলের পরিমাণ বে়ড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকেই। হতাশ হয়ে সানস্ক্রিন মাখা বন্ধ করে দেন।
কিন্তু রোদে যান বা নাই যান, সানস্ক্রিন কিন্তু মাস্ট। রোদে ত্বক পুড়বে না, এমন তো নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারীর নির্যাস যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্যই দারুণ উপকারী। তবে তা ব্যবহারের কিছু বিধি রয়েছে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন অ্যালো ভেরা জেল বা অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস?
১) পোড়া জায়গায় অ্যালো ভেরা জেল মাখার আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। হালকা কোনও তরল সাবান দিয়ে ত্বকের উপরের ধুলো ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
২) যে যে অংশে রোদ লাগে, সেখানে পাতলা করে অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস বা বাজার থেকে কেনা জেল মেখে নিন। ত্বকে যদি খুব সমস্যা না থাকে, সে ক্ষেত্রে হালকা হাতে ম্যাসাজও করতে পারেন।
৩) বাইরে বেরোলেও কিছু ক্ষণ অন্তর শুধু জল দিয়ে মুখ, হাত ধুয়ে আবার অ্যালো ভেরা জেল মেখে নিন।
৪) UV RAY হাত থেকে বাঁচতে অ্যালো ভেরা জেল মাখার পরেও গা ঢাকা পোশাক পরুন। রোদচশমা, টুপি, ছাতা নিয়ে তবেই বাইরে বেরোবেন।
৫) অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে তা বরফের ট্রে-তে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। বাইরে থেকে এসে মুখ, হাত পরিষ্কার করে মাখতে পারেন।
তবে যেকোনো ভাবেই ব্যবহার করুন না কেন, অবশ্যই তার আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।