১০হাজার বল ছোঁড়ার পর আপাতত বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিলেন চাকদহ এক্সপ্রেস। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় ছয় নম্বরে উঠে এলেন তিনি, পিছনে ফেললেন কপিল দেবকেও । দীর্ঘ ২০ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচেও রাখলেও অনন্য নজির; ১০ওভারে ৩টে মেডেন , ৩০রান , এবং ২টো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে দলকে জেতান ঝুলন।
এই দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনে সফলতা ও সম্মান প্রাপ্তির ঝুড়িও কম বড়ো নয়, ক্রিকেট মাঠের ট্রফি ছাড়াও তিনি পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার ও ২০১২ সালের পদ্মশ্রী পুরস্কার। সম্প্রতি তার বায়োপিক ও মুক্তি পেতে চলেছে, যাতে অভিনয় করবেন অনুষ্কা শর্মা।
কিন্তু শুধু সফলতাই তো নয়, এই সফলতার শিখরে পৌঁছতে পেরোতে হয়েছে নানা কঠিন সংগ্রাম। মহিলা ক্রিকেটে, আই.পি.এল নেই, জাঁকজমক নেই, অর্থ ও নেই সেভাবে। কিন্তু ছিল দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই, চিরাচরিত বাধানিষেধ আর সমাজের অসমতার বিরুদ্ধে। এই ক্রিকেটের লড়াইটা শুধু মাঠেই নয়, ছিল জীবনের প্রতিটা ধাপে। লড়াইয়ের পিছনের সেই সততা, এবং জয়ী হওয়ার তুমূল বাসনার জোরেই আজ তিনি বাংলার বাঘিনী। অবসর যাপন শুভ হোক, তাঁর জীবন হয়ে উঠুক আরো বহু মেয়ের লড়াইয়ের প্রতীক।