বর্তমানে ভারতে চালু থাকা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির মধ্যে অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হল whatsapp । বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন (Application) যা ব্যবহারকারীদের পাঠ্য বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে, ফটো এবং ভিডিওর মতো মিডিয়া শেয়ার করতে এবং গ্রুপ চ্যাট তৈরি করতে এবং সেখানে অংশগ্রহণ করতে দেয়। ভারতের কয়েক কোটি মানুষ বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক কাজ, যোগাযোগ, কলিং ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রে whatsapp অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে থাকেন গ্রাহকেরা।
বর্তমানে হ্যাকারেরা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য নতুন একটি উপায় অবলম্বন করেছে। তারা সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের আক্রমণ করছে। হ্যাকাররা বের করেছে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন একটি ভার্সন যেটিকে বলা হচ্ছে পিংক whatsapp যদি কোন গ্রাহক এই ভার্সনটি ইন্সটল করে, তাহলে হ্যাকাররা সেই গ্রাহকের এবং তাদের কন্টাকদেরও সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিমেষের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত নেট নাগরিকদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। গ্রাহকদের ফোনে গোলাপি রঙের হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করার একটি লিংক পাঠানো হচ্ছে এবং কোন গ্রাহক যদি এই লিংকে ক্লিক করে গোলাপি রঙের whatsapp ডাউনলোড করেন, তাহলেই বিপদ।
অফিসিয়াল whatsapp এর অফিসিয়াল রং হলো সবুজ তবে কেউ যদি আপনাকে বলে যে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ গোলাপি রঙের হয়ে যাবে তাহলে আপনার কৌতূহল আবার স্বাভাবিক। আরে কৌতুহলবশত গোলাপি রঙের whatsapp ডাউনলোড করার লিংকে ক্লিক করে আপনি যদি গোলাপি রঙের whatsapp ডাউনলোড করেন তাহলে আগামী দিনে আপনি অনেক বিপদের মধ্যে পড়তে চলেছেন।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের তরফে পোস্ট করা সেই ট্যুইটে উঠে এসেছে WhatsApp Pink নামে অ্যাপের এক ভার্সনের কথা। পুলিশ জানিয়েছে হ্যাকাররা সাইবার প্রতারণা করার জন্য নতুন এই হোয়াটসঅ্যাপের ভার্সনটি তৈরি করেছে। কোন ব্যক্তিগত নম্বর থেকে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজটি আসতে পারে।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের এই গোলাপি ভার্সন টি খুব দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে এবং বহু গ্রাহক এই ভার্সনটি ডাউনলোড করে বিপদের মধ্যে পড়ছেন।
তাই আপনাকে যদি কেউ গোলাপি রঙের হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করার কোন রকম লিংক পাঠায়, তাহলে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে সেই ব্যক্তিকে ব্লক করে দিন এবং পাশাপাশি রিপোর্টও করে দিতে পারেন। তার সাথে যে মেসেজটি আপনাকে পাঠানো হয়েছে, সেই মেসেজটি ডিলিট করে দিন। না হলে পরবর্তীতে অজান্তে এই লিংকে ক্লিক হয়ে যেতে পারে।