প্রসেনজিৎ কি আবার দেবশ্রী রায়কে ফিরে পেতে চান? কিন্তু কেন?

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনিপ্রিয় অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়(Prosenjit Chatterjee) । বহু জনপ্রিয় ছবি তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এবং আজও জনপ্রিয়তার সঙ্গে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে দেবশ্রী রায়কে(Debasree Roy) এই অভিনেতার সঙ্গে অনেক গুলি ছবিতেই জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল।
তাঁদের দুজনের জুটি দর্শকদের খুবই পছন্দের ছিল।
প্রসঙ্গত, সিনেমা জগতে তাঁদের জুটি যেমন জনপ্রিয় ছিল, বাস্তব জীবনেও তাঁদের জুটি বেশ আলোচনায় ছিল।

অভিনেতার সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় ছোট বেলা থেকে। তাঁদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং ১৯৯২ সালে বিবাহ করেন। তবে সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকেই দুজনের মুখ দেখা দেখি প্রায় বন্ধ। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। সেই নিয়ে তাঁদের ফ্যানেরাও বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন। আজও তাঁদের বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মিডিয়াতে চর্চা হয়।

অনেকেই মনে করেন, অভিনেতা প্রসেনজিতের মধ্যে দেবশ্রীকে নিয়ে একটু হিংসা তৈরি হয়েছিল। কেননা অভিনেত্রী ‘উনিশে এপ্রিল’ (19th April) ছবির মধ্যে দিয়ে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারে (National Award) ভূষিত হয়েছিলেন। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা। অনেকেই তাই বলেন, প্রসেনজিতের কারণে দেবশ্রী সরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে আবার এও শোনা যায় যে, ক্রিকেটার সন্দীপ পাটিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। যে কারণে সুপারহিট জুটির বিচ্ছেদ ঘটে। তবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু অভিনেত্রী বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি।

বর্তমানে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ‘কাছের মানুষ'(Kacher Manush) ছবির নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছে। এই ছবির প্রচারেই তাঁর মুখে শোনা গেল প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায়ের প্রসঙ্গ। অভিনেতাকে এক সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করেন। যেখানে জানতে চাওয়া হয়, ‘অতীতের কোন সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতে চান?’ উত্তরে অভিনেতা নাম না করেই প্রথম স্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে আনেন এবং বলেন, “আমার জীবনে তো অনেক সম্পর্কই ভেঙেছে, আবার গড়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার প্রথম স্ত্রী যাঁর সঙ্গে অনেকদিন কথা নেই, দেখাও নেই, দেখা হয়নি বলেই কথা হয়নি। আমরা ছোটবেলার বন্ধু। তো নিশ্চয়ই আমি চাইব যে একবার দেখা করে, আমরা তো একদম ছোটবেলার বন্ধু, তো ওই বন্ধুত্বের জায়গাটায় যেন চলে আসি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *