বাঙালি জাতির, বাঙালিত্বকে আরও সক্রিয় করে তোলার অন্যতম ভার কে বহন করেন জানেন? ‘ফেলুদা’! তাঁর হাত ধরেই আট থেকে আশির বাঙালি, উদ্যত হন রহস্য উন্মোচনে। সত্যজিৎ রায় যেন একটি গোটা জেনারেশনকে নিজের হাতে এইভাবেই তৈরি করে গেছেন, যাঁদের এক এবং অদ্বিতীয় নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন, গোয়েন্দা ফেলু মিত্তির।
একবিংশ শতাব্দীতেও কিন্তু ফেলুদার প্রতি উন্মাদনা কম তো নয়ই, বরং যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন আরও বেশি করে সকলের ‘হার্টথ্রব’। পরিচালক সৃজিত মুখার্জি গত জুন মাসে ওটিটিতে নিয়ে আসেন ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’। সত্যজিৎ রায়ের ‘দার্জিলিং জমজমাট’ গল্পটিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় এই ছবি। নামভূমিকায় ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা, টোটা রায়চৌধুরী। নতুন প্রজন্মের পরিচালকের হাত ধরে, ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ফেলুদার সফর কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। ভীষণই ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছিল। রায়বাবুকে টক্কর দেওয়ার মত ভাবনা তো রীতিমত দুঃস্বপ্ন এবং দুঃসাধ্য, কিন্তু সৃজিত নিজের মত করে যতটা চেয়েছেন, মন্দ করেননি। প্রভূত প্রশংসা পেয়ে তাই তিনি আবার ফেলুদা-প্রেমীদের উপহার দিতে চলেছেন, ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’র নতুন মরশুম, যে গল্পটির নাম ‘ভূস্বর্গ ভয়ংকর’। পরিচালকের ঘোষণা শুনেই রীতিমত উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন অনুগামীরা। কিছু একপেশে অনুগামী থাকলেও, অনেকেই সৃজিতের ‘এক্সপেরিমেন্ট’কে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এবং অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ভবিষ্যতে যেন তিনি আরও বেশি করে ফেলুদার গল্প, রুপোলি পর্দায় তুলে ধরেন।
এখনকার প্রজন্মের বই পড়ার নেশা সেরূপ সক্রিয় নেই, তাই অভিভাবকদের বিশ্বাস, যদি রুপোলি পর্দার মাধ্যমেই অন্তত, এই ‘সুপারহিরো’র সঙ্গে তাঁদের পরিচয় ঘটে!