ওজন কমাতে গেলে দরকার রোজের এক্সারসাইজ এবং ডায়েট। আপনি যা খাচ্ছেন, তা আপনার দেহে পুষ্টির জোগান দেয়, তেমনই ওজন কমাতে সাহায্য করে। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফল এসব অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এগুলো ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আবার আমরা ওটসের সঙ্গে টক দই, ফল, বাদাম ইত্যাদি থাকেই। কিন্তু কিসের সাথে মিশিয়ে ওটস খেলে চটজলদি ওজন কমবে, তা কি জানেন? রইল টিপস।
১) ওটমিল ও বাদাম:
দিন শুরু করুন এক বাটি ওটমিল দিয়ে। সঙ্গে থাকুক আখরোট কিংবা কাঠবাদাম। একবাটি ওটমিল ও বাদাম ফাইবারে ভরপুর হয়। এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি পেটকে ভর্তি রাখে, বদহজমের সমস্যা দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহে পুষ্টি ঘাটতি তৈরি হতে দেয় না।
২) টক দই ও বেরি:
টক দইয়ের মধ্যে ভিটামিন C ও ক্যালশিয়াম থাকে। পাশাপাশি এটি Probiotic সমৃদ্ধ খাবার। Probiotic রোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ওজনও কমায়। আর টক দইয়ের সঙ্গে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি বা র্যাশবেরি মিশিয়ে খান। বেরির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ওজনকে বশে রাখার পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা প্রদান করে।
৩) পিনাট বাটার ও আপেল:
ওজন কমাতে গেলে ডায়েটে ফাইবারের সঙ্গে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। ব্রেকফাস্টের রাখতে পারেন পিনাট বাটার। রোজ আপেল খেতে পারেন। রোগের ঝুঁকি এতে অনেকটাই কমে যায়। এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও কম পরিমাণ ক্যালোরি। আপেল ও পিনাট বাটার আপনি স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
৪) ডার্ক চকোলেট ও বাদাম:
সাধারণ চকলেট বাদ দিয়ে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। ডার্ক চকোলেট ওজন কমাবে। তার সঙ্গে খেতে হবে বাদাম। আমন্ড, আখরোটের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ডার্ক চকোলেট। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে ৭০% কোকো থাকে। অন্যদিকে, বাদামের মধ্যে ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ডার্ক চকোলেট ও বাদাম খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হবে। স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন এই খাবার।
৫) ডিম ও বেলপেপার:
“Sunday ho ya Monday,
Roz Khao Aandey”
রোজ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। দেহে পুষ্টির সঞ্চার ঘটে। তবে অবশ্যই তা মশলা দেওয়া ডিমের তরকারি বা ভাজা ডিম নয়। ডিম সেদ্ধ বা পোচ বানিয়ে নিন। এর সঙ্গে লাল, হলুদ বেলপেপার মিশিয়ে খান। বেলপেপার সেদ্ধ বা হালকা ভেজে নিতে পারেন। ডিমের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, অন্যদিকে বেলপেপারের মধ্যে ভিটামিন সি। এই খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।