বহুদিন ধরেই আধার কার্ডের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে সাইবার প্রতারণাকারীরা নতুন মাধ্যম হিসেবে AEPS কে আধার কার্ডের Biometric Data হাতিয়ে এই কাজ করছে তারা।
জনসাধারণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে প্রতারকেরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে। বর্তমানে এই Crime যেনো বেড়েই চলেছে। আজকাল চাকরির পরীক্ষা থেকে শুরু করে জমি, বাড়ি রেজিস্ট্রির অফিস -সব জায়গাতেই লাগে আধার কার্ডের Biometric Data আর তারই সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা। তাহলে কি সরকারি ক্ষেত্রেই এসব অপরাধের আঁতুড়ঘর গড়ে উঠেছে?
সম্প্রতি এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের তরফে মহম্মদ আসাদুল্লাহ খান বলছেন, “লোকজন এসে সম্প্রতি আমাদের কাছে লাগাতার একই ধরনের অভিযোগ করছেন। বলছেন তাঁরা কোথাও ওটিপি শেয়ার করেননি, UPI পিন শেয়ার করেননি, কেউ আমাকে কল করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেনি, কারও কথায় আমি কোনও লিঙ্ক খুলিনি, অথচ আমার অ্যাকাউন্ট থেকে হাজার হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই বলছেন, টাকা কাটার পর ফোনে যে মেসেজ আসছে তাতে লেখা AEPS বা আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা কাটা হয়েছে।”
এই AEPS আসলে কি?
এই AEPS হলো আধার কার্ডের এমন এক সুবিধা যার মাধ্যমে আপনি শুধু আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই তুলতে পারবেন টাকা। শহর শুধু নয় বরং গ্রামে যে সমস্ত জায়গায় এটিএম কাউন্টার নেই, সেখানে কেউ AEPS কাউন্টারে গিয়ে টাকা তুলতে পারেন। শুধু লাগে ফিঙ্গার প্রিন্ট। আর এই ফিঙ্গার প্রিন্টই হয়েছে বিপদের চিন্হ। এর মাধ্যমেই হাজার হাজার টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা।
তাহলে এখন উপায়? উপায় রয়েছে এবং খুব সহজ উপায়। উপায়টি হল Biometric Data Lock করা। কিভাবে করবেন দেখে নিন। Google Play Store থেকে Download করুন MAadhaar অ্যাপটি। এবার Aadhaar Authentication করুন। এরপর আপনার বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন অপশনে যান। সেখানে গিয়ে আপনি আপনার বায়োমেট্রিক লক করে দিতে পারেন।
ভবিষ্যতে পরীক্ষা সহ যে কোনো Official কোনও কাজে প্রয়োজন হলে আপনি এটা আবার খুলতে পারেন। কাজ মিটে গেলে আবার লক করে দিতে পারেন। এইভাবে বায়োমেট্রিকের অপব্যাহারের হাত থেকে খানিকটা রেহাই মিলতে পারে।