বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম একটি রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হলো ভারতের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক (Indian Railway) প্রতিদিন দেশের কয়েক কোটি মানুষ তাদের যাতায়াত, কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য কারণ এর জন্য ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে থাকেন। আমাদের প্রত্যেকের জীবনকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে চলেছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় পরিবহনের মেরুদন্ডই বলা চলে ভারতীয় রেলকে। তবে সাধারণ মানুষদের জন্য একটি বড় খুশির খবর এনেছে ভারতীয় রেল। শোনা যাচ্ছে যে ট্রেনের টিকিটের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের ওপর মহলের তরফ থেকে।
বেশ কয়েকটি ট্রেনের টিকিটের দাম কমাতে চলেছে ভারতীয় রেল। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ক্লাস ট্রেন, লাক্সারি ভিস্তাডোম ট্রেন এবং AC নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের টিকিটের দাম কমতে চলেছে। এই সমস্ত ট্রেনের টিকিটের দাম কমে গেলে সাধারণ মানুষেরাও এই বিলাসবহুল ট্রেনগুলোতে চড়তে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত এই ট্রেনগুলোর টিকিটের দাম অত্যাধিক হওয়ার সাধারণ মানুষ এই ট্রেনগুলি সাধারণত ব্যবহার করতেন না। তবে কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্তের পরে এই চিত্রটি সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে।
ভারতীয় রেল একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি করেছিল যেখান থেকে জানা গিয়েছে যে এই বিলাসবহুল ট্রেন গুলিতে মোট আসনের অর্ধেক পূরণ হতো না। মূলত অত্যাধিক টিকিটের দামের জন্য সাধারণ মানুষ এবং অন্যান্যরাও এই ট্রেনগুলিকে এড়িয়ে চলতেন। জানা যাচ্ছে যে এই ট্রেন গুলির ভাড়া কমিয়ে যাত্রীদের আকৃষ্ট করার কথা ভাবা হচ্ছে রেলের তরফে।
শোনা গিয়েছে যে এই বিলাসবহুল ট্রেনগুলির ভাড়া কমানো হতে পারে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে নির্দিষ্টভাবে কোন কোন ট্রেন গুলোর ক্ষেত্রে নতুন ভাড়া প্রযোজ্য হবে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন বার্তা দেওয়া হয়নি ভারতীয় রেলের তরফ থেকে।
একটা ছোট্ট হিসাব দিয়ে ভাড়ার পার্থক্যটা আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়া যায়। ধরুন একটি ভালো মানের বিলাসবহুল ট্রেনের যাতায়াতের খরচ সাধারণ অবস্থায় ছিল ২০০০ টাকা। সেখানে অন্যান্য ট্রেন একই যাত্রাপথ যেতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিত 700 থেকে 800 টাকার মতো। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মধ্যবিত্ত যাত্রীরা পরের ট্রেনটিকেই পছন্দ করবেন।
তবে কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্তের পর যে ট্রেনের ভাড়া ২০০০ টাকা ছিল, সেই ট্রেনের নতুন ভাড়া হতে পারে ১৫০০ টাকা। কেন্দ্র আশা করছে যে ভাড়া কমানোর ফলে এই ট্রেন গুলিতে যাত্রী সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পাবে।