তাপপ্রবাহের শেষে নেমে এসেছিল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছিল বাংলার মানুষ। তবে শোনা যাচ্ছে যে ফের বাড়বে তাপমাত্রা ও আসতে চলেছে তাপপ্রবাহ। এই নিয়ে আবহবিদরা কি বলছেন জানা যাক!
এখনই বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি ক্ষীণ নাহলেও তাপমাত্রা বাড়বে ধীরে ধীরে। আগামী শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে আরো এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের আনাগোনা থাকায় বাড়বে অস্বস্তি।
আগামী তিন-চারদিনে তাপমাত্রা বেড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বাড়বে অস্বস্তি ও গরম। বাড়তে পারে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা। বাতাসের জলীয় বাষ্প এবং গরম মিলে আদ্রতার কারণে ঘাম কম হবে তবে বাড়বে অস্বস্তি।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তারপর ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। পার্বত্য এলাকার জেলাগুলি ছাড়া আর কোথাও সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি কোথাও কোথাও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দমকা ঝড় হাওয়া হইতে পারে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে আগামিকাল প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে৷ বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে দমকা ঝড়ো হাওয়া। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
কলকাতায় আজ সকালের দিকে আবহাওয়া ভালো থাকবে। বেলা বাড়লে বাড়বে অস্বস্তি। বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এরকম আবহাওয়া হবার কারণ কি?
আবহবিদরা বলছেন যে, উত্তরপূর্ব বাংলাদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের কাছে বিদর্ভে সৃষ্টি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তর। বিদর্ভের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা দক্ষিণের কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে অবস্থান করছে।
তবে এখনই সারা দেশে কোথাও আগামী পাঁচদিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী পাঁচ দিনের তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী দুদিনে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে। কিন্তু পরবর্তী কয়েক দিনের দু থেকে তিনটি তাপমাত্রা আবার কমে যাবে। পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েক দিন দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী দুদিনে দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে।