বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলা ধারাবাহিকে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে মানুষ মজে আছেন সূর্য-দীপার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’এ। নানা রকম সম্পর্কের টানা পোড়েন দিয়ে এগিয়ে চলেছে গল্প। এই মুহূর্তে দর্শকের চোখের মণি হয়ে উঠেছেন সূর্য এবং দীপার জমজ সন্তান, সোনা রূপা। কিন্তু জন্ম থেকেই তাঁরা তাঁদের সঠিক অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত ছিল না। পরবর্তীতে রূপার সামনে আসল ঘটনা উন্মোচিত হলেও, সোনার কাছে সবটাই ছিল অস্পষ্ট। তাই নিজের বাবা মায়ের খোঁজে দিন দিন মরিয়া হয়ে উঠেছিল ছোট পর্দার এই ক্ষুদে। অবশেষে তাঁর সামনে সকল সত্যি উদঘাটন করল তাঁর আপন বোন রূপা। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ এ এই পর্ব দেখে ইতিমধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনুরাগীরা। সম্প্রতি এই ধারাবাহিক অতিক্রম করল চারশো পর্ব।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছিল, সূর্যর কাছে মানুষ হওয়া, তাঁর এবং দীপার সন্তান সোনা একটি ভ্রান্ত ধারণার দ্বারা চালিত হচ্ছে। যে পরিবারে সে মানুষ, সেই পরিবারই নাকি তাঁর আপন নয় এমনটাই তাঁকে বোঝানো হয়েছে। তাই তাঁর আপন মা বাবাকে খুঁজতে রীতিমত বিপথের শিকার হয় ছোট্ট মেয়েটি। এই হেন অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে তাঁর আপন মায়ের পেটের বোন রূপা। যে দীপাকে সে এতদিন ‘ফুল মা’ ডেকে এসেছে, সেই দীপাই যে তাঁর আসল মা, রূপাই যে তাঁর আসল বোন, তা শুনে সকলের প্রতি অভিমানে ফেটে পড়ে সোনা।
সোনার অভিমান হলেও, এতদিনকার এক ধোঁয়াশা তাঁর মন থেকে যে উধাও হয়েছে, তার জন্য নিশ্চিন্ত হয়েছেন এই ধারাবাহিকের দর্শক-কুল। সোনার সঙ্গে তাঁরাও রীতিমত উৎকণ্ঠায় থাকতেন এই পরিণতি নিয়ে। তবে সূর্যের মা লাবণ্য সেনের উদ্যোগেই সোনা রূপার জন্মের সময় এই গোলযোগ সৃষ্টি হয়। সোনা মানুষ হতে থাকে সূর্যর কাছে, রূপা মানুষ হতে থাকে দীপার কাছে। সোনা যেমন ছোট থেকে পায়নি তাঁর মা কে, রূপাও পায়নি তাঁর বাবাকে। অপরদিকে সূর্য জানত সে পিতৃত্ব অর্জনে অক্ষম। এমনটা ঘটে মিশকার ষড়যন্ত্রের ফলে। সূর্যকে সে বিশ্বাস করে, দীপার সন্তান তাঁর নয়, অন্য কারোর। কোনও কারণে যদি সূর্য সোনার পরিচয় জেনে যায়, তাহলে সে ভাবতে বাধ্য হবে এই সন্তানও দীপার কিন্তু পিতা অন্য কেউ! সূর্যের কথা ভেবেই সোনাকেও জানানো হয়নি আসল সত্য।
সোনা আসল সত্য জানলেও, সূর্য আবার মিশকার চক্রান্তের শিকার। এই মুহূর্তে সে বিপদগ্রস্ত। কীভাবে সোনা সূর্যের সামনে সকল পরিস্থিতি সামাল দেবে, আপাতত সেই নিয়ে চিন্তিত ভক্তকুল।