কথায় বলে “আবহাওয়ার মতিগতি বোঝা কারো সাধ্যি নেই!”- আবহাওয়ার এই ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন দেখে সেটাই মনে হচ্ছে খোদ আবহবিদদের! পশ্চিমি ঝঞ্জার জেরে আটকে আছে উত্তুরে হাওয়া আর সেই কারণের জন্য প্রতিদিন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সেই সঙ্গে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই ভোগান্তি কতদিন চলবে সেটাই এখন দেখার।
আবহবিদদের মতে, আগামী ৪-৫ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই আপাতত। রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আগামী দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে আরো। আগামী দু-তিন দিনে আবহাওয়ার তেমন কোনো বড় রকমের পার্থক্য ঘটবে না।
এবার আসি উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াতে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন যে আগামী কয়েকদিনে তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটবে না আবহাওয়াতে বরং আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জানান যে অন্য কোনো বছরে জানুয়ারি মাসে এভাবে তাপমাত্রা সাধারণত এতদিন থাকে না। ৪-৫ দিন পরপর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে তবে একটানা এভাবে থাকতে দেখা যায়না কোনো বছর।
অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্জার কারণে ব্যাপক পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশে আবার তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, চন্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শিলাপাতেরও ঝক্কি পোহাতে হতে পারে শহরবাসীদের।
আগামী মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর ও মুজাফফরাবাদেও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমাচলপ্রদেশেও মঙ্গল ও বুধবার হবে শিলাবৃষ্টি। উত্তরপ্রদেশেও বুধবার হবে শিলাবৃষ্টি। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হবে ভারী বৃষ্টিপাত তাও আবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ। হিমাচলপ্রদেশ, ওড়িশা ও বিহার ঢেকে ঢাকবে ঘন কুয়াশা দ্বারা। তবে এখনই ভেবে বসবেন না যে এখানেই শীতের ইতি কারণ পশ্চিমী ঝঞ্জা কেটে গেলে ফের শীত জাঁকিয়ে বসতে পারে। শীতের আমেজ আবারও পেতে পারেন আপনি। তবে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনে শরীরে দেখা দিতে পারে সর্দি ও জ্বরের উপদ্রব। তাই সেদিকে খেয়াল রাখুন ও সুস্থ থাকুন।