ওজন ঝরিয়েও ফের পূর্ব রূপে ফিরেছেন অম্বানি-পুত্র অনন্ত! বাগদানের ছবি ঘিরে তোলপাড় নেট দুনিয়া

একটা সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, ওরফে আই পি এলের বেশিরভাগ খেলা জুড়েই থাকত তাঁর উপস্থিতি। তাঁর দল ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। মায়ের সঙ্গে গ্যালারীতে মধ্যমণি হয়ে বসে থাকতেন, মুকেশ অম্বানি (Mukesh Ambani) এবং নীতা অম্বানির (Neeta Ambani) পুত্র, অনন্ত অম্বানি (Anant Ambani)। বলা বাহুল্য, অম্বানি পুত্র হওয়ার দরুন নয়, বরং তিনি তাঁর চেহারার জন্য হতেন তাচ্ছিল্য, তথা কটাক্ষের শিকার। কিন্তু তাঁর এই পরিণতির পেছনে রয়েছে এক করুন ইতিহাস।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ে, রাজকীয় আড়ম্বরের সঙ্গে সাধিত হল অনন্ত অম্বানি এবং তাঁর কৈশোরের প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টের (Radhika Merchant) বাগদান পর্ব। উপস্থিত ছিলেন সপরিবারে শাহরুখ খান, সলমন খান থেকে বরুণ ধাওয়ান, রণবীর কাপুর, জন আব্রাহাম প্রমুখ। সকলেই যে যাঁর মত করে বেশ নজর কেড়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন স্বয়ং পাত্র, অনন্ত অম্বানি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিবাহের জন্য নয়, বরং এই যুগে দাঁড়িয়েও তাঁকে তাঁর শারীরিক গঠনের জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে।

অনন্ত একসময় বেশ ভারী শারীরিক গঠনের ছিলেন। অনিয়ন্ত্রত খাদ্য গ্রহণ কিংবা শারীরিক কসরত না করার জন্য অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেছিল, এমন নয়। আসলে তিনি ছোট থেকে শ্বাস-কষ্টজনিত নানারকম সমস্যায় ভুগতেন। তার জন্য তাঁকে বিভিন্ন রকম কড়া ডোজের ওষুধ সেবন করতে হত। বলা বাহুল্য, ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও ছিল প্রকট। তাই সময়ের সঙ্গে, অনন্তের চেহারার ওজনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তীতে অনন্ত চেষ্টা করেন তাঁর এই বিশালাকার দৈহিক গঠনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। দক্ষ পুষ্টিবিদের থেকে সুপরামর্শ নিয়ে, দিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা শরীর চর্চা এবং একুশ কিলোমিটার করে হেঁটে একেবারে অতিরিক্ত সকল মেদ ঝরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বয়সের যেকোনও অন্যান্য যুবকের মত সুঠাম, ছিপছিপে গড়নের। কিন্তু হঠাৎ তাল কেটে যায়। পরিশ্রমে ফাঁকি দিতে শুরু করেন অনন্ত। ফলে, যেমন ছিলেন, সেই অবস্থাতেই ফিরে আসেন। চিকিৎসক জানান, পরিশ্রম না করলে কখনই অনন্ত মেদহীন হতে পারবেন না। সেই কারণে পরিশ্রমে ঘাটতি রাখার ফলে তিনি আবার বিশালাকার শারীরিক গঠনের অধিকারী হয়েছেন। কিন্তু তার অতিরিক্ত মেদ বহুল চেয়েও কদর্য মানসিকতার মানুষের পরিমাণ বেড়ে গেছে সর্বত্র, যাঁরা অনবরত অনন্তের চেহারা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন। বাগদানে হবু দম্পতির মিষ্টি মধুর মুহূর্তকে উপভোগ না করে, তাঁরা অনন্তের দুর্বলতা নিয়ে সোচ্চার হয়ে পড়ছেন। যদিও, এই মিষ্টি দম্পতিকে শুভেচ্ছা বার্তাতেও ভরিয়ে দিয়েছেন অনেক নেটিজেনরা, এবং সেটিই স্বাভাবিক। বিধাতার কাছে প্রার্থনা, ভালো থাকুন অনন্ত, ভালো হোক তাঁর সব, অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা যায়, কিন্তু সমাজের অতিরিক্ত যে সকল কদর্যতা ভরপুর হয়ে রয়েছে, সেখান থেকেও যেন সমাজ মুক্ত হয়ে ওঠে।

Scroll to Top