সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার ঠিকঠাক পুষ্টি। পুষ্টি পেতে সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত দরকারি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। শরীরে ভিটামিনের অভাবের কারণে হতে পারে অনেক রোগ। Vitamin A,B, C, D, E এর মত ভিটামিন-P ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা শরীরে দরকার। এটি আসলে ভিটামিন নয় কিন্তু ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, Vitamin P এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
ভিটামিন-পি এর উপকারিতা:
- ত্বকের জন্য:
ভিটামিন-পি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ত্বকের কোষকে শক্তিশালী করে৷ আঘাতজনিত ক্ষত ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
ভিটামিন-পি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। - প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে:
বায়োফ্ল্যাভোনয়েডগুলির প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে৷ আর্থ্রাইটিস, অ্যালার্জি এবং হাঁপানির মতো রোগ থেকেও রক্ষা করে। - হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য:
ভিটামিন-পি যা বায়োফ্ল্যাভোনয়েড নামেও পরিচিত তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। Vitamin P পাওয়া যাবে: - কমলা, লেবু, আঙুর ইত্যাদি সাইট্রাস ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায়।
- ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে ।
- ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরিতেও ভিটামিন-পি পাওয়া যায়।
- ভিটামিন পি পেতে আপনি আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় আপেল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
এছাড়াও কিছু সবজিতেও এই ভিটামিন দেখা যায় কেমন:
গ্রিন টি, পালং শাক এবং ব্রকলি ফ্ল্যাভোনয়েডের ভালো উৎস। ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে এই সবজিগুলোকে আপনার ডায়েটের অংশ করুন ।