ব্লাডসুগার ও হার্টের রোগের যম হিসেবে রোজ দু’টি করে চিবিয়ে খান এই মশলা।

রান্নায় স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ। ব্লাড সুগার হোক বা হার্টের রোগ; সবকিছুতেই বাজিমাত কোন মশলা জানেন? জেনে না থাকলে জেনে নিন।

যে মসলাটির কথা বলছি সেটি হলো লবঙ্গ। প্রতিদিন দু’টি লবঙ্গ মুখে রেখে দিন বা চিবিয়ে খেয়ে নিন। তাতেই মিলবে দারুণ সুফল। কঠিন রোগ থেকে শুরু করে মুখের গন্ধ, সবের উপশমে কাজে আসে এই জাদুকরী মশলা। কি কি গুণ আছে বিশদে জানুন।

১) লবঙ্গের Antibacterial এবং Antiviral বৈশিষ্ট্য যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

২) Antiseptic বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত লবঙ্গ। যা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তারা দাঁতের ব্যথা উপশম করতে এবং সামগ্রিক দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।

৩) পেট ফুলে যাওয়া অর্থাৎ ব্লোটিং, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো Gastrointestinal সমস্যা কমিয়ে হজম শক্তি বাড়ায় লবঙ্গ।

৪) লবঙ্গের Detoxifying বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা টক্সিন দূর করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

৫) শ্বাসযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে। ফলে ঠান্ডা লেগে কাশি, সর্দি, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিস উপশম করতে সাহায্য করে।

৬) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ উপাদানের কারণে নিয়মিত লবঙ্গ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

৭) লবঙ্গের Antimutagenic বৈশিষ্ট্য Leukoplakia এবং Squamous Cell Carcinoma মতো মুখের ক্যানসারের জন্য দায়ী টিউমার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। লবঙ্গ তেলের নিয়মিত ব্যবহার এই রোগগুলির প্রকোপের হার কমতে পারে।

৮) লবঙ্গ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই Diabetis আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য দারুণ উপকারী।

৯) লবঙ্গ যা ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। রোজ লবঙ্গ খেলে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে।

১০) লবঙ্গের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য সরাসরি হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য উপকারী। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কমায়।

বৈদ্যনাথের চিকিৎসক ডা. আশুতোষ গৌতমের মতে, “লবঙ্গ তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস। অ্যারোমাথেরাপিতে অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যথা উপশমকারী হিসাবে বিশেষত দাঁতের ব্যথা এবং পেট ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।’’

‘‘এটি প্রায়শই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য তেলের সঙ্গে মেশানো হয়। যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা কপালে তিলের তেলের সঙ্গে উষ্ণ লবঙ্গ তেল লাগাতে পারেন।’’

Scroll to Top