হৃষিকেশ মুখার্জীর ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ দিয়ে তাঁর অভিষেক ঘটে রুপোলি দুনিয়ায়। যদিও তখন তিনি নিতান্তই শিশু। তবুও সেই চরিত্রে তাক লাগিয়েই জিতেছিলেন সেরার শিরোপা। ছোট্ট ‘বুম্বা’কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আজ, তিনিই ‘মিস্টার ইন্ড্রাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। টলিউড সাম্রাজ্য এখনও তাঁর কাঁধে ভর এগিয়ে চলেছে সাফল্যের চূড়ায়।
বিমল রায়ের ‘দুটি পাতা’ দিয়ে নায়ক রূপে প্রতিভাত হয়ে ওঠেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় তাঁর জীবনের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি ‘অমরসঙ্গী’। দীর্ঘদিনের প্রণয়ের পর ১৯৯২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের (Debashree Roy) সঙ্গে। বলা বাহুল্য, দেবশ্রীর কেরিয়ারের গ্রাফও তখন বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘লাঠি’, ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’র মত বেশ কিছু চর্চিত ছবির মুখপাত্র রূপে দেখা যায় প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটিকে। যদিও শৈশব থেকেই তাঁদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। রুপোলি পর্দায় প্রণয়ের সম্পর্কে অভিনয় করতে করতে, বাস্তবে এই সম্পর্ক পরিণতি পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাঁদের বৈবাহিক জীবন। বছর তিনেকের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
দেবশ্রী আর বিবাহ করেননি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামীর প্রতি তাঁর ক্ষোভ লক্ষিত হয়। অপরদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানা যায়, দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন বর্তমানের ‘মিস্টার ইন্দ্রস্ট্রি’। অবসাদ গ্রাস করে তাঁকে। তাঁর মনে হয়, এতদিনকার সম্পর্ক, এত লোকের জানাজানি, তাঁকে আরও কোণঠাসা করে তুলবে। সকলের কাছে মিথ্যে হয়ে উঠবে তাঁদের প্রেম! কিন্তু কাছের কিছু বন্ধুর জন্য, স্বনামধন্য কিছু পরিচালকের ডাকে বছর দুয়েক পর জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে বাধ্য হন ‘বুম্বা’দা। প্রসেনজিৎ নিজেই জানান, কমবয়সী হওয়ার দরুন, তাঁদের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বোধ তখনও গড়ে ওঠেনি। হয়ত আরও পরবর্তীতে এই সম্পর্ক পরিণতি পেলে গল্পটি অন্য হলেও হতে পারত। তবুও জীবনের প্রতি ‘আক্রোশ’ রাখেননি বাঙালি দর্শকের এই ‘মনের মানুষ’ টি। দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা হলে বন্ধুত্বপূর্ন আচরণ করবেন বলেই জানিয়েছেন জনমাধ্যমে।