ভিটামিন, শারীরিক কার্যাবলী সম্পাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু মনেরও তো অসুখ করে! মনও তো খারাপ হয়! তার প্রভাব কিন্তু শরীরেও পড়ে। শরীরের জন্য তো নাহয় ভিটামিন এ, বি, সি প্রভূত রসদ রয়েছে! তাহলে মনের জন্য কি এমন ভিটামিন রয়েছে, যা মনকে ভালো রাখবে?
আলবাত রয়েছে। সেই খোঁজ কে দিলেন জানেন? নাহ্, কোনোও তথাকথিত ডাক্তার বা বিজ্ঞানী নন। টলিউডের ‘বারবি গার্ল’ স্বয়ং মনামী ঘোষ হদিশ দিয়েছেন এমন এক ভিটামিনের, যা নাকি মনকে ভালো রাখতে বাধ্য!
অভিনয় এবং নাচের মাধ্যমে অনুগামীদের হৃদয় জয় করার পর, মনামী নাম লিখিয়েছেন গায়িকার তালিকায়। তাঁর প্রথম গানটির নাম হল ‘ভিটামিন এম’। বলা বাহুল্য, এই ‘এম’ অক্ষরটি মিউজিক, এবং মনামীর নামের প্রথম অক্ষরকে প্রতিনিধিত্ব করছে। মনামীর বক্তব্য, গান মানুষের মনকে ভালো রাখে। বিভিন্ন জায়গায় অবসাদগ্রস্ত মানুষের ‘মিউজিক থেরাপি’ চলে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য। তাই গানের চেয়ে ভালো মনের ওষুধ কিছু হতেই পারে না। এই গানটি শুধু যে গানকেই প্রাধান্য দিচ্ছে তা নয়, এই গানটিতে আছে মনামীর যাত্রা। ১৯৯৭ সালে একটি ছোট্ট মেয়ে, এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে পা রাখে টলিউডের মাটিতে। সেই কিশোরীর মনামী হয়ে ওঠার গল্প, প্রেরণা জোগাবে যেকোনো স্বপ্ন দেখা মানুষকে। তাই এই ভিটামিন, নিজের লড়াইকে উদ্বুদ্ধ করারও।
মনামী গায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েও যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। তাঁর ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল, হলিউডের শিল্পীদের মত স্টেজে উঠে ‘পারফর্ম’ করবার। সেই স্বপ্নও তাঁর সফল হল। এখন তিনি চুটিয়ে উপভোগ করছেন অনুগামীদের সঙ্গে ‘ভিটামিন এম’ রিল কনটেস্ট, যেখানে তাঁর অনুগামীরা প্রত্যেকদিন এই গানের তালে কোমর দুলিয়ে প্রিয় অভিনেত্রীকে উৎসাহ দিচ্ছেন এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ থেকেও ভালোবাসা পাচ্ছেন মনামী। নাচ, অভিনয় দ্বারা মন্ত্রমুগ্ধ করার পর, গানেও সকলের মন জয় করা নিয়ে তাঁর ভক্তেরা আনন্দে মেতে উঠেছেন।