চাঁদের পরের গন্তব্য সূর্য, মঙ্গল, শুক্র। ইসরোর পরবর্তী মিশন গুলি সম্পর্কে জানেন?

কিছুদিন আগেই ছিল সারা ভারতের গর্বের দিন। চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান ৩, কিছুদিনের মধ্যেই তা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। একটি হলিউড সিনেমার বাজেটের থেকেও কম টাকায় এই মিশনটি তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের পিঠে অবতরণের ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানে উঠে আসতে চলেছে ভারতের নাম।

তবে শুধুমাত্র চন্দ্রযান থ্রি মিশন নয়, ইসরোর হাতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি মিশন। কিছুদিনের মধ্যেই এই মিশন গুলি শুরু করা হবে এবং ভারতবাসী হিসেবে গর্বে আরো চওড়া হবে আমাদের বুক।

ইসরোর পরবর্তী ছয়টি মিশন:

১.আদিত্য এল-১-২০২৩

৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মিশনটি শুরু করা হবে। পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন মাইল দূরে পাঠানো হবে এই যানটিকে। মূলত সূর্যের উপর নজরদারি চালানোর জন্যই এই মিশনটি লঞ্চ করা হচ্ছে। এই মিশনে ভারতের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV)।

২. নাসা-ইসরো সার (NISAR) স্যাটেলাইট-জানুয়ারি ২০২৪

আনুমানিক খরচ:১২ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।

পৃথিবীর ম্যাপকে আরো নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে দুই মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই মিশনটি লঞ্চ করা হবে।

স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর চারিদিকে প্রদক্ষিণ করবে এবং পৃথিবীর ভূ প্রকৃতি, আবহাওয়া, মাটি, বরফ এলাকা ইত্যাদি বিষয়ে নিখুঁত তথ্য দেবে।

তিন বছর ধরে এটি পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে থাকবে এবং মাত্র 12 দিনের মধ্যেই সমস্ত পৃথিবীর ম্যাপ তুলে ধরতে সক্ষম হবে এই স্যাটেলাইটটি।

৩. স্পাডেক্স-

২০২৪ সালের মার্চ মাস নাগাদ মিশনটি শুরু করা হবে। আনুমানিক খরচ হবে ১২৪ কোটি টাকা

দুটি যমজ মহাকাশযানকে একসাথে লঞ্চ করা হবে মহাকাশে। পাঠানো হবে দুটি ভিন্ন কক্ষপথে। একটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেইকেলের সাহায্যে স্যাটেলাইট গুলি লঞ্চ করা হবে।

৪.মঙ্গলযান-২, ২০২৪

এটি অন্যতম চর্চিত একটি মিশন, যেটি ভারতের ইসরোর তরফ থেকে শুরু করা হবে। তবে আনুমানিক খরচ কত হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন তথ্য জানা যায়নি।

মূলত মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ, ব্যাসাল্ট ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য বের করার জন্য এই স্যাটেলাইটটি পাঠানো হবে মহাকাশে।

৫.গগনযান-২০২৪:

আনুমানিক খরচ: ৯ হাজার ২৩ কোটি টাকা

মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশে মহাকাশচারীদের পাঠানো হবে।

৬. শুক্রযান-১, ২০৩১:

আনুমানিক খরচ: ৫০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা

শুক্র গ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য ২০৩১ সালের দিকে শুক্রযান ১ মিশনটি শুরু করা হতে পারে ইসরোর তরফ থেকে।

Scroll to Top