সাইকেল হোক বা বাইক বা কোন লরি, অটো, ট্যাক্সি – প্রত্যেকটিতেই অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চাকা। আর প্রত্যেকটি যানবাহনের চাকাতেই পাম্প দিয়ে হাওয়া ভরতে হয়, না হলে সেই যানটি চালানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া সাইকেল বা বাইক চালানোর সময় সব সময় পাংচার হবার চিন্তা থাকেই। এছাড়া হাওয়া কমে যেতে পারে বা হাওয়া বেরিয়ে যেতে পারে। তখন আবার পাম্প করে হাওয়া ভরতে হবে। তবে বিজ্ঞানের কল্যাণে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।
সমাজ যত এগোচ্ছে, উন্নত হচ্ছে তারই সাথে উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি। আর এই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই একদল বিজ্ঞানী তৈরি করেছেন এমন একটি চাকা, যাতে আলাদা করে পাম্প দিয়ে হাওয়া ভরার কোনো প্রয়োজন নেই। ওহিও ভিত্তিক একটি কোম্পানি শেপ মেমরি অ্যালয় রেডিয়াল টেকনোলজি দিয়ে নাসার রোভার টায়ার প্রযুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বিশেষ বায়ুবিহীন টায়ার তৈরি করেছে। এই চাকাতে হাওয়া ভরার কোন প্রয়োজন নেই।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে নাসা চাঁদে যে মুন রোভার এবং মঙ্গলে যে রোভার পাঠিয়েছে সেগুলিতে এইরকম টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এই বায়ুবিহীন টায়ার বানিয়েছে।
এই টায়ারটির কয়েল স্প্রিং আভ্যন্তরীণ কাঠামোর কারণে কখনোই ব্যর্থ হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই টায়ারটি ধাতু দিয়ে তৈরি। রবারের স্প্রিং এর বদলে এখানে ধাতুর ব্যবহার করা হয়েছে। এইজন্য এই টায়ার এ হাওয়া ভরার কোন প্রয়োজন নেই এবং পাংচার হবার কোন ভয় নেই।
টায়ারে ব্যবহার করা হয়েছে একটি সিল্কি স্প্রিং। নিকেল, টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি নিটিনলও ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। যা টাইটেনিয়াম এর মত শক্তিশালী তবে রবারের মত নমনীয়। এটির উপর যখন চাপ পড়ে তখন এর আকৃতি পরিবর্তন হয় কিন্তু পরে আবার পুরাতন আকারে ফিরে আসে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই ধাতবটা টায়ারটি সংকুচিত এবং রিবাউন্ড হতে পারে।
খুব শীঘ্রই সংস্থার তরফ থেকে টায়ারটি বাজারে লঞ্চ করা হবে। এই টায়ারটি লঞ্চ করলে অটোমোবাইল সংস্থা সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও উন্নত হবে অটোমোবাইল সেক্টর।