পলাশ-প্রিয়া দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে অপেক্ষার প্রহর গুনলেন দর্শকও, কিন্তু বসন্ত এসেও পড়ল না ধরা….

“যখন শিমুল পলাশ ঝরবে পথে, দুলবে হাওয়া বুকে, থাকব দুজন দুজনাতে শপথ নিয়ে সুখে”, মনে পড়ে “রসগোল্লা” ছবির এই গান? আচ্ছা একসঙ্গে থাকার শপথ কি শুধুই শারীরিক? ঠিক যেন এই মনস্তত্ত্বই ফুটে উঠেছে এসভিএফ মিউজিক (SVF Music) প্রযোজিত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গান “পলাশ” (Palash) এ। যেখানে একসঙ্গে থাকার শপথ রয়েছে মানসিক ভাবে। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় (Debchandrima Singha Roy)। তাঁর অপেক্ষা ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে গল্প। কিন্তু কীসের অপেক্ষা? সেই উত্তরই দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে অনুসন্ধান করবেন দর্শকও। গল্পটি জীবনের দুটি পর্যায়ের, শৈশব এনিং যৌবন। শৈশবের আবেগই যৌবনের নিয়ন্ত্রক।

শৈশবে বালিকা দেবচিন্দ্রমার জন্য সাজি ভর্তি করে পলাশ পাঠাত তাঁরই সমবয়সী এক বালক। কিন্তু এই দেওয়া নেওয়া চলত বালিকার চোখের আড়ালে। সাজি ভর্তি থাকার অপেক্ষা করত ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু সময়ের স্রোতে, একদিন আর সাজি সেজে উঠল না। ধীরে ধীরে হারিয়ে গেল সেই পলাশ-প্রেরক। কিন্তু অপেক্ষার আর এক নাম বিশ্বাস। মেয়েটি বড় হল, শৈশব পেরিয়ে যৌবনে পা দিল। সে জানত, একদিন আবার এই সাজি ভরে উঠবে। অপেক্ষার অবসান হয়, সাজি ভরে ওঠে। কিন্তু যথারীতি প্রেরককে শারীরিক ভাবে ছুঁতে পারে না সে। গ্রামের মেঠো পথ ধরেই দিগন্তে মিলিয়ে যায় এক প্রাপ্তবয়স্ক যুবক। দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে এতক্ষণ ধরে সময় গুনতে থাকা দর্শকও যেন, এই বিচ্ছেদে নিরাশ হয়ে পড়েন।

এসভিএফ প্রযোজিত এই মিউজিক ভিডিওটি জুড়ে রয়েছে স্মৃতি রোমন্থন। এক মোহময় আবেশে ফুটে উঠেছে প্রত্যেক চিত্রায়ন। দেবচন্দ্রিমার পোশাকেও রয়েছে এক পুরতনী ছোঁয়া। ঋতম সেনের (Ritam Sen) কথায় গানটিকে সুরে বেঁধেছেন প্রসেন (Prasen)। শ্যামশ্রী সাহার (Shyamoshree Saha) কণ্ঠে গানটি হয়ে উঠেছে যথার্থই স্পর্শকাতর। ইতিমধ্যে গানটি বিপুল সংখ্যক মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

Scroll to Top