গরমের কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তার সাথে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। কোথাও আধঘণ্টা কোথাও এক ঘণ্টা কোথাও বা দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে লোডশেডিং। নাজেয়াল হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা। ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক নাগরিক সকলেই তীব্র গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস করছেন।
বিদ্যুৎ সংস্থা দপ্তরে ফোন করে জানালেও কোন সুরাহা মিলছে না। ফলস্বরূপ ঘন্টার পর ঘন্টা লোশেডিং এর মধ্যেই কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক ক্ষেত্রে কাজকর্ম বন্ধ রাখছেন সাধারণ মানুষ এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে।
বারবার লোডশেডিং এর একটি কারণ সাধারণ মানুষই। বিদ্যুৎ দপ্তরের পারমিশন অনুযায়ী প্রত্যেক বাড়িতে একটি এসি বসানোর সুযোগ রয়েছে।। তবে কোন কোন বাড়িতে তিনটি বা চারটি করে এয়ারকন্ডিশনার বসানো হচ্ছে, তাও বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই। এর ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে ব্যাপক পরিমাণে এবং ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। অবৈধভাবে এমন এসির ব্যবহারের কারণে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
শহর এর অনেকে মনে করছেন যে, দালাল মারফত মোটা অংকের টাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই অধিকারীদের পকেটে পৌঁছে যাচ্ছে এবং পারমিশন না নিয়েই দু তিনটে করে এসি চালানো হচ্ছে অনেক বাড়িতে। এই ঘটনাটিকে লোডশেডিং এর বাড়বাড়ন্তর কারণ হিসেবে মনে করছেন অনেকে।
যে সমস্ত পরিবারে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এসি নেই, তাদের অবস্থা আরো খারাপ। শিশু থেকে বয়স্ক মানুষজন গরমের মধ্যে খুব কষ্ট পাচ্ছেন, অনেকে সারারাত না ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন। অনেক বাড়িতে অসুস্থ মানুষ আছেন, তাদেরও অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমারে যতটা চাপ হওয়ার কথা এ বছর তার দ্বিগুণ চাপ বেড়ে গিয়েছে। একই সাথে অতিরিক্ত এসি বসানোর ফলে বিদ্যুতের সমস্যা বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি এবং ট্রান্সফরমারের চাপ। তবে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার। তবে গরম যদি আরো বাড়ে, তখন কি যে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সামনে ঝড় বৃষ্টি হলে ইলেকট্রিকল বেশ কিছু আনুষঙ্গিক পার্টস পরিবর্তন করতে হতে পারে। তখন আবারো লোডশেডিং এর সাক্ষী হতে হবে সাধারণ মানুষকে।