‘মিঠাই রানী’ র সঙ্গে ‘গাঁটছড়া’ ছিন্ন করে, লালন ফুলঝুরির ‘ধুলোকণা’ জীবনই হল সেরা

বিগত একবছর ধরে সেরার মুকুট পরছিলেন ‘মিঠাই রানী’। অর্থাৎ, জী বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকই টিআরপির তালিকায় রাজ করছিল শিখরে। মাঝে অবশ্য স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ এর আসন দখল করেছিল ঠিকই, কিন্তু ইদানিং প্রায় সকলকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে ‘ধুলোকনা’।

ধুলোকনা


২০২১ সালে শুরু হয় স্টার জলসায় ‘ধুলোকণা’। এবারেও টিআরপিতে প্রথম স্থানাধিকারি এই ধারাবাহিক। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ‘লক্ষ্মী কাকিমা’, তৃতীয় স্থানে ‘গৌরী এলো’, এবং চতুর্থ স্থানে ‘মিঠাই’, ‘গাঁটছড়া’ সহ ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকতটি।
‘ধূলোকণা’র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন টেলি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে, এবং ইন্দ্রাশিস রায়। এঁরা দুজনেই খুবই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। মানালির চরিত্র ‘ফুলঝুরি’, খেটে খাওয়া মানুষ। যে বাড়িতে তিনি কাজ করেন, সে বাড়িরই গাড়ির চালক হিসেবে নিযুক্ত হন ‘লালন’, ওরফে ইন্দ্রাশিস। কিন্তু গল্পের প্রথমে তাঁদের বনিবনা হয়ে ওঠে না। নিত্যদিন একে অপরের সঙ্গে ঝগড়ায় মত্ত থাকেন তাঁরা। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ভালোবাসা হয় বিপরীতেই! সেই সূত্র সমান ভাবে কার্যকরী হয় তাঁদের ক্ষেত্রেও। প্রতিনিয়ত সমাজের উচ্চবিত্তদের শোষণে, একে অপরের সম্বল হয়ে ওঠে লালন এবং ফুলঝুরি। দুজনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে গান! কিন্তু তাঁদের সম্পর্কেও ফাটল ধরাতে বদ্ধ পরিকর হন, তাঁদেরই মালিকের মেয়ে ‘চড়ুই’। চড়ুইয়ের ‘পাখির চোখ’ হয় লালন। যেন তেন প্রকারেন লালনকে সে ‘দখল’ করতে চায়। তাঁর এই অন্যায় আবদারে ইন্ধন যোগায় তাঁর মা। কিন্তু অবশেষে চড়ুইয়ের সকল চক্রান্তে ভস্মে ঘি ঢেলে লালন এবং ফুলঝুরি সাত পাকে বাঁধা পড়ে। এই মুহূর্তে গল্পের পটভূমি তাঁদের নব বিবাহিত জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।


খুব কমদিনেই এই যুগলের খুনসুটি, রাগ,অনুরাগ সর্বোপরি ভালোবাসায় একে অপরের সম্বল হয়ে ওঠার যাত্রা দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। তাঁরা যেন বাড়ির সদস্যই হয়ে উঠেছে। সমাজের নিম্ন স্তরের এই সংগ্রাম, দর্শককে ব্যক্তিগত ভাবে ধাক্কা দেয়। তাই তো সন্ধ্যা ৮ টা বাজলেই, পরিবারের সকলে টিভির সামনে চলে আসেন, লালন ফুলঝুরির সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে।

Scroll to Top