চিকিৎসায় মিলছে সাড়া, জীবনের জ্যোতি ফিরে পাওয়ার পথে ঐন্দ্রিলা

কেটে গেছে টানা ছয়দিন। এক নাগাড়ে তিন চারদিন চিকিৎসায় সাড়া না দিলেও, সম্প্রতি সুস্থতার ছন্দে ঐন্দ্রিলা ফিরছেন এমনই অনুকূল প্রতিক্রিয়া চিকিৎসক মহলে। গত পয়লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই থেকে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছিলেন আপনজন থেকে অনুগামী সকলেই।

অবস্থার উন্নতি সেই হিসেবে এই কদিন হচ্ছিল না। অভিনেত্রী ছিলেন কোমায়। ব্রেন স্ট্রোকের দরুন শরীরের এক অংশ হয়ে গেছিল অসাড়। সম্প্রতি জানা গেছে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চোখের পাতা বা হাত, তাঁর একটু একটু নড়ছে। আর দিন কয়েক তাঁকে নজরে রেখে তাই ভেন্টিলেশন থেকে সরানোর কথাও চিন্তা করছেন চিকিৎসকরা, যা খুবই প্রশান্তির।

বমি ও গায়ে তীব্র জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ছোট পর্দার ‘ঝুমুর’, সেইদিন থেকেই তাঁর “জিয়ন কাঠি” সব্যসাচী চৌধুরী বিনিদ্র রজনী যাপন করেছেন তাঁর ‘জীবনজ্যোতির’ জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায়। ঐন্দ্রিলার অবস্থা একটু নিয়ন্ত্রণে আসা মাত্র, সব্যসাচী তাঁর সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন কিভাবে কেটেছে এই কটি দিন! প্রতি দিন অচেতন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে গল্প করতেন তিনি, তাঁর স্বর কোথাও গিয়ে ঐন্দ্রিলাকে সেই অবস্থাতেও জীবনের কাছে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করে। ঐন্দ্রিলা ‘বিজয়িনী’, তাঁর জীবনী শক্তির কাছে যেকোনও দস্যু রোগই কুপোকাত হয়। সব্যসাচী ক্ষোভ প্রকাশ করেও বলেন, তাঁদের এমন মানসিক অসহায়তায় কিছু অসৎ মানুষ শুধু মাত্র কয়েক টাকা রোজগারের জন্য, সামাজিক মাধ্যমে বিশ্রী কনটেন্ট বানাচ্ছেন, যার জন্য অভিনেত্রীর পরিবারে ভীষণ কুপ্রভাব পড়ছে।

কিন্তু একথাও সত্য, ঐন্দ্রিলার খবর পাওয়া মাত্র তারকা থেকে অনুগামীরা বা অন্যান্য সাধারণ সকল মানুষ কেবল একটি বিষয় নিয়েই প্রার্থনা করে গেছেন। যে ঐন্দ্রিলা সকল মানুষের ‘জীবনজ্যোতি’, তাঁর জীবনের জ্যোতি যেন খুব তাড়াতাড়ি আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠে, পিছিয়ে পড়া মানুষকে আলোর পথযাত্রী করে তোলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *