আপনি কী উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যায় ভুগছেন। জেনে নিন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবেন।

আজকাল কম বেশি মানুষ উচ্চ কোলেস্টরল সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাঁর জন্য কারিকারি ওষুধ খেয়ে থাকেন কম বেশি মানুষ। তাই আজ ঘরোয়া টিপস জেনে নিন। যেগুলো নিয়মিত পালন করলে কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেকাংশ কমবে।

আজকাল কম বেশি মানুষ উচ্চ কোলেস্টরল (High Cholesterol) সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাঁর জন্য কারিকারি ওষুধ খেয়ে থাকেন কম বেশি মানুষ। তাই আজ ঘরোয়া টিপস জেনে নিন। যেগুলো নিয়মিত পালন করলে কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেকাংশ কমবে।

কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের চর্বি যুক্ত লিপিড স্তর। এই স্তরে ফ্যাট এবং প্রোটিন দুই-ই উপস্থিত থাকে। শরীরে দুই রকমের কোলেস্টেরল বর্তমান। শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরলকে বলা হয় ‘লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ (LDL) এবং ভাল কোলেস্টেরলকে বলা হয় ‘হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ (HDL)।

খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে চর্বি জমিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। যার ফলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। এই ঝুঁকি কমাতে আপনাকে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা সকলেই জানেন স্বাস্থ্যের জন্য পানীয় অত্যন্ত উপকারী। এমন কিছু পানিও আছে, যা পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহার্য করে (Helps lower cholesterol levels)। এই প্রতিবেদন থেকে আপনার এমনই ৪ টি পানীয় সম্পর্কে জানবেন।

চলুন জেনেনিন ৪টি পানীয় সম্পর্কে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

১) সোয়া দুধ (Soya Milk)
সোয়া দুধে সোয়াবিন থেকে তৈরি একপ্রকার উচ্চ প্রোটিন যুক্ত পানীয়। এটি ক্রিমযুক্ত সাদা তরল পদার্থ যা গরুর দুধের মতো দেখতে। এই পানীয়তে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের (Saturated Fat) মাত্রা অনেকটা কম রয়েছে। যেকারণে এই দুধ খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হয় এবং হৃদরোগের সম্ভবনা কমে।

২) ওটস মিল্ক (Oat Milk)
ওটসে রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি 6 (Vitamin B6), প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম সহ প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার ওটসকে সহজে জলে ভিজতে সাহার্য করে। আপনি যদি কোলেস্টেরল সমস্যায় ভোগেন তবে ওটসের দুধ আপনার পক্ষে খুবই উপকারী। ওটসে উপস্থিত বিটা-গ্লুকান অন্ত্রে জেলের মতো স্তর তৈরি করে। যা শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) গ্রিন টি (Green Tea)
গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Anti-Oxidant) পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যাটেচিন (Catechin) এবং এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট(Epigallocatechin Gallate), যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলে লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা ১৬% কমে যায়।

৪) টমেটো রস (Tomato Juice)
টমেটোতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি(Vitamin C), ভিটামিন কে(Vitamin K), পটাশিয়াম উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া লাইকোপিন নামক একপ্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা কোলেস্টেরলের হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে, রোজ টমেটোর রস খান। আপনাদের জানিয়ে রাখি, টমেটো রান্না করার পরও, তার গুণ বজায় রাখে।

Scroll to Top