Google Doodle: ১৯ মার্চে গুগল ডোডলে এই ব্যক্তিটি কে জানেন?

Google Doodle-এ মাঝেমধ্যেই আমরা বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি দেখতে পাই। আন্তর্জাতিক নারী দিবস বা বিশ্ব যুব দিবসে সেই বিষয়ক কোন আর্ট জায়গা পায় এই স্থানে। মূলত বিশেষ কোন দিন বা বিশেষ কোন ব্যক্তিকে সম্মান জানাতেই Google এই অভিনব পদ্ধতি নিয়েছে।

সম্প্রতি ১৯ মার্চ তারিখে গুগলে এনার ছবিটি সবার উপরে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে এই ব্যক্তিটি আসলে কে, এনার অবদানই বা কি? কেনই বা গুগল থেকে এনাকে সম্মান জানানো হলো?

১৯শে মার্চ কিংবদন্তি রসায়ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিও মোলিনার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একজন বড় বিজ্ঞানী। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব সনাক্তকরণে তিনি পালন করেছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেজন্য তার আসি তম জন্মবার্ষিকীতে তার উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা জানালো গুগলের ডুডুল (Google Doodle)।

ওজোন স্তরের ছিদ্রর ব্যাপারটি প্রথম প্রমাণ করেন ডক্টর মারিও মোলিনার। ১৯৯৫ সালে তিনি প্রথম জানান ওজোন স্তরের গর্ত তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করবে যা প্রাণীকুলের ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।ডক্টর মারিও মোলিনার ফোনের প্রথম ব্যক্তি যিনি বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং তার প্রভাব সারা বিশ্বের জনগণের সামনে তুলে ধরেন। ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের প্রভাব পৃথিবীতে কেমন হতে পারে,তা তিনি তুলে ধরেছিলেন। এই আবিষ্কারের জন্য পরবর্তীকালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।

ছোটবেলায় নিজের বাথরুমকে একটি গবেষণাগারে পরিণত করেছিলেন তিনি। মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ক্ষুদ্র অণুজীব অধ্যায়ন করতেন ছোট থেকেই। অতিবেগুনি রশ্মি কিভাবে ওজোন স্তরের ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছাচ্ছে এবং পৃথিবীর পক্ষে এই রশ্মি কতটা ক্ষতিকর সেই বিষয়ে তিনি মানুষকে অবগত করেন। এরোসলের স্প্রে, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি আরো জিনিস যে এই ক্লোরোফ্লুরোকার্বন পাওয়া যায়, তা তিনি জানান।

তার এই আবিষ্কার পরবর্তীকালে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কাজ করতে সাহায্য করেছিল বিজ্ঞানীদের। একটি চুক্তির পিছনে এই গবেষণাটি ছিল। ১০০ টি রাসায়নিক যেগুলির কারণে ওজন স্তরের ক্ষতি হতে পারে সেই রাসায়নিক গুলোর উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এই চুক্তির মাধ্যমে।

ডক্টর মারিও মোলিনার না থাকলে আমরা হয়তো ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারতাম না এবং পরিবেশে এই ১০০ টি কেমিক্যাল উৎপাদন আজও হয়ে যেত।

Scroll to Top