আপনার ফোনের টেম্পারড গ্লাস কি জেনুইন? আসল না নকল টেম্পারড গ্লাস কিভাবে বুঝবেন?

মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের সুরক্ষার জন্য আমরা টেম্পারড গ্লাস ব্যবহার করে থাকি। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন দামের টেম্পারড গ্লাস কিনতে পাওয়া যায়। তবে কোন টেম্পারড ক্লাস কতটা উপযুক্ত এবং আসল তা সম্পর্কে আমরা আসলেই সচেতন নই। অনেকে মনে করেন যে টেম্পারড গ্লাস মোটা হলেই সেটি ভালো হয় বা টেম্পারড গ্লাস শক্ত হলেই সেটি বেশি টেকসই হবে। তবে টেম্পারড গ্লাস কেনার আগে অবশ্যই হাত দিয়ে যাচাই করে নেবেন যে এটি মসৃণ কিনা। মসৃণ টেম্পারড গ্লাস সাধারণত অন্যান্য টেম্পারড গ্লাসের তুলনায় ভালো গুণমান সম্পন্ন হয়।

টেম্পারড গ্লাস আসল নাকি নকল তা যাচাই করার জন্য ওয়াটার ড্রপ পরীক্ষা করা হয়। এটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে টেম্পার গ্লাসটি আসল নাকি নকল। এটির জন্য প্রথমে টেম্পারড গ্লাসের উপর এক ফোটা জল ফেলে ধীরে ধীরে গ্লাসটি কাত করতে হবে। যদি জলের ফোঁটা ভেঙে ছড়িয়ে যায়, তাহলে বুঝে নেবেন যে এটি আসল নয়, নকল।

টেম্পারড গ্লাস কতটা শক্ত তা যাচাই করতে পারেন পেন্সিলের শেষ দিয়ে। আমাদের বেশিরভাগের পেন্সিলের শীষ তৈরি হয় গ্রাফাইট দিয়ে। বিভিন্ন পেন্সিলের কাঠিন্য বিভিন্ন রকম হয়। ৮এইচ, ৭এইচ, ৬এইচ ইত্যাদি দিয়ে পেন্সিলের কাঠিন্য বোঝানো হয়। 9B পেন্সিলের শীষ সবথেকে বেশি কঠিন হয়।

এই পেন্সিলের আঁচড় টেম্পারড গ্লাসের উপর পড়বে না। সাধারণত কাঠিন্য মাপা হয় একটি নির্দিষ্ট কাঠিন্যের(7B) তলের ওপর পরবর্তী কাঠিন্যর(8B,9B) পদার্থ আঁচড় কাটতে পারছে কিনা তার উপর ভিত্তিক করে। আপনারা এই পদ্ধতির মাধ্যমেও টেম্পার্ড গ্লাসের কাঠিন্য যাচাই করে নিতে পারেন।

মোবাইল ফোনের সুরক্ষার জন্য টেম্পার্ড গ্লাস লাগানো অত্যন্ত প্রয়োজন। অসাবধানতার পাশে মোবাইল ফোন আমাদের হাত থেকে পড়ে গেলে আমাদের স্ক্রিন ফেটে যায় এবং সেটি সারাই করতে গেলে পরবর্তীকালে অনেক টাকা খরচ হতে পারে। তবে এই গ্লাসটি লাগানো থাকলে মোবাইল ফোন হাত থেকে পড়ে গেলে শুধুমাত্র এই কাঁচটিই ফেটে যায়। পরবর্তীকালে মাত্র অল্প কিছু টাকা দিয়ে এটিকে রিপ্লেস করে নিলেই ফোনটি আবার আগের মত অবস্থায় চলে আসে।

Scroll to Top