iPhone v/s Android; কোন কোন বিষয়ে এগিয়ে আছেন অ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা?

আইফোন নাকি অ্যান্ড্রয়েড, কোনটি বেশি ভালো তা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে তুমুল চর্চা। তবে বলা বাহুল্য যে, আইফোন এবং এন্ড্রোয়েড দুটিই বাজারে সমান ভাবে পাল্লা দিচ্ছে এবং উভয়ের মধ্যে রয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক সব ফিচার। তবে এই পোস্টে আপনাদের জানানো হবে এন্ড্রয়েড ফোনের এমন কিছু সুবিধা, যেগুলো সাধারণত আইফোনে পাওয়া যায় না। এবং আইফোন এর সাথে তুলনায় Android এই বিষয়গুলিতে বেশ ভালই এগিয়ে আছে।

১. ফ্লেক্সিবিলিটি এবং কাস্টোমাইজেশন:

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীরা মোবাইলের হোম স্ক্রীন, উইজেট এবং অ্যাপ আইকনগুলি কাস্টমাইজ করার সুযোগ পান। যেখানে iOS ডিভাইসগুলিতে সীমিত কাস্টমাইজেশন বিকল্প রয়েছে।

২. Expandable Memory:

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেমাইক্রোএসডি কার্ড স্লট থাকে, যেটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইলের স্টোরেজ বাড়াতে পারে। তবে আইফোনগুলিতে এই সুবিধা নেই।

৩.একাধিক অ্যাপ স্টোর:

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা একাধিক অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।,তবে আইফোনে শুধুমাত্র অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোনোভাবে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন না।

৪.সস্তা বিকল্প:

Android ডিভাইসগুলি বিভিন্ন রকম মূল্যের হয়। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সকলেই কিনতে পারেন। তবে আইফোনের দাম অনেক বেশি বলে সবাই ব্যবহার করতে পারেন না।

৫. ভালো ফাইল ম্যানেজমেন্ট:

আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনেক ভালো এবং ইউজারদের জন্য সুবিধাজনক।

৬. Google পরিষেবাগুলির সাথে সংযোগ:

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে Google ম্যাপ, Google ড্রাইভ এবং Google সহ Google-এর একাধিক অ্যাপস এবং সুবিধাগুলো রয়েছে ইন বিল্ট। তবে আইফোনে এই সুবিধা পাবেন না সহজে।

৭.স্প্লিট-স্ক্রিন:

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীরা পাশাপাশি দুটি অ্যাপ চালানোর সুবিধা প্যান, তবে আইফোনে স্প্লিট-স্ক্রিন সম্ভব নয়।

৮.ডিফল্ট অ্যাপ:

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য ডিফল্ট অ্যাপ বেছে নেবার সুযোগ পান। তবে iOS শুধুমাত্র অ্যাপলের ডিফল্ট অ্যাপগুলোকে ছাড়া অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন না।

আগামীকালের প্রতিবেদনে আইফোনের এমন কিছু ফিচার সম্পর্কে জানানো হবে, যেগুলো আপনাদের কল্পনারও বাইরে।

Scroll to Top