এই সময়ের বাংলা ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলতে খুব সহজেই একটি নামই উঠে আসে। সে যতই তা নিয়ে যাবতীয় বাগবিতণ্ডার পাল্লা ভারী হয়ে উঠুক না কেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে সত্যিই বাংলা সিনেমা জগতের মোড় ঘুরিয়েছেন একটা সময়ে, তা কিন্তু অস্বীকারের মোটেই জো নেই!
আশির দশকে তাঁর অভিনীত ‘অমরসঙ্গী’ ছবির ‘আইকনিক’ গান, “চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারই..” সদ্য প্রেমে পড়া কিংবা না পড়া সকল কিশোর কিশোরীর মনে ঝড় তোলে। গানটির জনপ্রিয়তা এতই বিপুল ভাবে বৃদ্ধি পায় যে আজও তার কদর কোনও অংশে কমেনি।
দিন কয়েক ধুমধাম করে আয়োজিত হল, প্রসেনজিৎ-পুত্র তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ওরফে মিশুকের আঠারো বছরের জন্মদিন। প্রাপ্তবয়স্ক হলেন ‘বুম্বা’র আদরের ধনটি। বিদেশে পড়াশুনা করলেও, দেশে নিজের বাড়িতে মা বাবার সঙ্গে কেক কেটে, সকালে ঘরোয়া উদযাপন করেছেন মিশুক। সামাজিক মাধ্যমে প্রসেনজিতের ভাগ করে নেওয়া পুত্রের জন্মদিনের মুহূর্তে, সামিল হয়েছেন অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী, তাঁদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে।
বিকেলের অনুষ্ঠানে একবারে হয়ে উঠেছিল জন্মদিন জমজমাট। টলিউডের বিভিন্ন তারকার মেলায় ভরে উঠেছিল মিশুকের জন্মদিনের আয়োজন। দেব, অঙ্কুশ, ঐন্দ্রিলা সকলে উপস্থিত ছিলেন আদরের তৃষাণজিৎকে শুভেচ্ছা জানাতে। মেসি ভক্ত মিশুকের, কেকটিও হয়েছিল নজর কাড়ার মত! আর্জেন্টিনা থিম কেকের ওপর ছিল ছোট্ট মেসির অবয়ব। আর তা পেয়েই যারপরনাই খুশি হন টলিউড সম্রাটের রাজপুত্রটি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে মুহূর্তটি, তা হল, বাবার জনপ্রিয় কালজয়ী গান, ‘অমরসঙ্গী’র তালে তাল মিলিয়েছেন পিতা পুত্র দুজনেই। আর তাতেই উপস্থিত সকলে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে তাঁদের যৌথ পরিবেশনায় এই কালজয়ী গানটির, ‘ড্যান্স মুভ’। এমনকি পুত্রের নৃত্যের প্রতি দক্ষতা দেখে আপ্লুত বাবা তাঁকে, বলিউডের ‘মিস্টার ইন্ড্রাস্ট্রি’ শাহরুখ খানের সঙ্গেও তুলনা করেছেন।