বর্ণের জনক যিনি, সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে সৃষ্টি এক বিশাল আলোড়ণের! এই আলোড়নের সপক্ষে না বিপক্ষে আপনি? আপনার কি মত?

“ভূষণহীন সারল্যই তাঁহার রাজভূষণ।”
যার সম্পর্কে এই কথাটি বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গতকাল ছিল তাঁর জন্মদিন। বাংলা বর্ণের জনক যিনি বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। এই ঈশ্বরের জন্মদিন ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। কিসের আলোড়ন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
একাধারে অধ্যাপক, বিশিষ্ট কবি, শিক্ষাবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ, চলচ্চিত্র পরিচালক সহ আরো অনেকে মহান শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে ‘শিক্ষক দিবস’ (Teachers’ Day) হিসাবে পালন করার দাবি জানিয়েছেন ও সমর্থন করেছেন। ‘বাংলা পক্ষ’, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) চিঠি দিয়েছে ছাব্বিশে সেপ্টেম্বর বাংলা নবজাগরণের মূল ব্যক্তিত্বের জন্মদিনকে বাংলার শিক্ষক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হোক। এই সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) অনুগ্রহ করেছে এই দিনটিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ (National Teachers’ Day) হিসাবে ঘোষণা করতে!
এই প্রসঙ্গে ‘বাংলা পক্ষে’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় (Garga Chattopadhyay) মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কাছে বার্তায় বলেছেন যে,”আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, না আমাদের জাতি আর না আমাদের বাংলা এই মানুষটির সঠিক মূল্যায়ন করতে পেরেছে আর না ওনার যোগ্য সম্মান ওনাকে দিতে পেরেছে।”
এই সংস্থাটি আরো বলেছে যে, যদি ওনাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হয় তাহলে শুধু বাংলাতেই ওনার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে তাই নয় বরং গোটা দেশে এই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির আরো ভালো মূল্যায়ন করা হবে যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার জন্য একদিন ব্রিটিশরা ‘বিধবা বিবাহ আইন’ (Widow Remarriage Act) পাশ করতে বাধ্য হয়। এই বিশিষ্ট ‘বাংলা পক্ষ’ নামক সংস্থায় কিন্তু বিশিষ্ট কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী থেকে শুরু করে রূপম ইসলাম, পরমব্রত চ্যাটার্জী-দের মতো প্রমুখ ব্যক্তিরা আছেন।
এবার আপনার মত কি বলে? শ্রদ্ধেয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিন অর্থাৎ ২৬শে সেপ্টেম্বরকে কি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ (National Teachers’ Day) হিসাবে ঘোষণা করা কি উচিত না উচিত নয়?

Scroll to Top