ভারতীয় রেলে প্রায় 63 কোটি টাকা ক্ষতি। কীভাবে এই ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ নিয়েছে রেল।

ভারতীয় রেলর তেজস এক্সপ্রেস বেসরকারি অপারেটাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রেল প্রথমবার এই অপারেটাদের হাতে তুলে দিয়ে পরীক্ষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু রেলের এই পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়ে যায়। ট্রেন চালানোর জন্য ৬৩ কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।

আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই এবং লখনৌ থেকে দিল্লী রুটে তেজস এক্সপ্রেস (Tejas Express) চালিত হয়। তবে গত তিন বছরে আইআরসিটিসিকে দিতে হয়েছে ৬২ টাকা ক্ষতিপূরণ। এছাড়া সম্প্রতি দিল্লি থেকে লখনউগামী তেজস এক্সপ্রেস ২৭.৫২ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে লাভবান হওয়া যায়, তা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। লোকসানে চলা তেজস এক্সপ্রেসকে লাভবান করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বিভাগ। এই বিভাগ এমন এক পরিকল্পনা নিচ্ছে, যার ফলে লাভবান হবে তেজস ট্রেনগুলি।

বিজ্ঞপ্তিতে কি বলা হয়েছে?

অর্থ মন্ত্রক কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কর্মীরা অফিসিয়াল সফরের সময় তেজস এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করতে পারবেন। এর জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সরকার অনুমোদন দেওয়ার পরই ওই কর্মচারী অফিসিয়াল ট্যুর, প্রশিক্ষণ, বদলি এবং অবসর গ্রহণ ইত্যাদির জন্য তেজস এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করতে পারবেন। জানিয়ে রাখি, কর্মচারীরা শতাব্দি এক্সপ্রেসের মতো একই সুবিধা ভোগ করবেন তেজস ট্রেনগুলিতে।

কেন্দ্রীয় কর্মচারীর বেতন স্কেল অনুযায়ী কোন কর্মীচারী কোন শ্রেণীতে ভ্রমণ করতে পারবেন জেনে নিন

১) যে সমস্ত কর্মচারীরা পে লেভেল ১২ বা তার উপরে বেতন পেয়ে থাকেন, সেই সমস্ত যাত্রী এক্সিকিউটিভ, AC 1st ক্লাস, প্রিমিয়াম তত্কাল কোচের সুবিধা মিলবে।
২) যে সমস্ত কর্মচারী পে ম্যাট্রিক্সে লেভেল ৬ অনুযায়ী বেতন পান, তাঁদের এসি ২য় শ্রেণীর সুবিধা মিলবে।
৩) এছাড়া যাঁরা পে ম্যাট্রিক্সে লেভেল ৫ হিসাবে বেতন পান, তাঁরা এসি ৩য় শ্রেণীর সুবিধা ভোগ করবেন।

Scroll to Top