কোন মুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে অপরাধীর মুখোশ? রহস্য সমাধানে ব্রতী ব্যোমকেশ বক্সী

এক প্রাসাদসম, কিঞ্চিৎ পরিত্যক্ত অট্টালিকা। আর সেখানকার ভিন্ন ভিন্ন মনস্তত্ত্বের ঘরণীদের উপস্থিতি। বাড়ির পরিসরের মতই, তার প্রতি কোনায় কোনায় যেন রহস্যও জমাট বাঁধা পাহাড় প্রমাণ। এরই মাঝে ঘটে যায় এক বিপর্যয়। খুন হন বাড়ির পৌঢ় সদস্য নিশানাথ বাবু। খুনের কিনারার জন্য ডাক পড়ে, সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ গল্প অবলম্বনে, সুদীপ্ত রায় নির্মিত ‘ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল’ (Byomkesh O Pinjrapol) এ ফুটে উঠতে চলেছে এমনই এক চিত্র। বাড়ির কোন সদস্যের দ্বারা খুন হয়েছেন নিশানাথ বাবু, এতগুলি মুখের আড়ালে কে পরিধান করে আছেন খুনীর মুখোশ, সেই রহস্য উন্মোচন করতেই অগ্রসর হয়েছেন ব্যোমকেশ বক্সী।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। সমগ্র ট্রেলার জুড়ে একাধিক খন্ড চিত্র ফুটে উঠেছে। সংলাপের চেয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক শব্দ। ফোনের রিং হওয়া থেকে শুরু করে ঘড়ির টিকটিক, এমনকী প্রত্যেকটি রহস্যময় ঘটনাকে শব্দ দিয়েই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, প্রত্যেক সন্দেহভাজনের জীবন যাপনের যেন আলাদা আলাদা শব্দ বেশি করে প্রকট হয়ে উঠেছে। সময় বয়ে যাওয়ার সঙ্গে যেমন যোগ করা হয়েছে উড়োজাহাজের শব্দ, সেরকমই আবার যে মুহূর্ত ব্যোমকেশ রহস্য সমাধানের কুল কিনারা পাচ্ছেন না, সেই সময় মাটির তৈরি জিনিসের নষ্ট হয়ে যাওয়ার শব্দ বেশ লক্ষনীয়।

‘চিড়িয়াখানা’ গল্পটি প্রথম বড় পর্দায় প্রদর্শন করেন সত্যজিৎ রায়। ব্যোমকেশের ভূমিকায় ছিলেন স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার। পরবর্তীতে অনেক পরিচালকই এই গল্পকে কেন্দ্র করে ছবি নির্মাণ করেছেন। প্রসঙ্গত, এই ছবিতে ব্যোমকেশের ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। যদিও এবারে তাঁর জোড়া দায়িত্ব। শুধু অভিনয়েই নয়, সৃজনশীল পরিচালনার গুরুভার তাঁর কাঁধেই অর্পিত। তাঁর বিপরীতে সত্যবতীর ভূমিকায় যথারীতি রিদ্ধিমা ঘোষ (Ridhima Ghosh)। এর আগেও ব্যোমকেশ এবং সত্যবতীর চরিত্রে তাঁদের পেয়েছেন দর্শক। তবে অজিতের চরিত্রে এবারে আছে পরিবর্তন। অভিনেতা সুব্রত দত্ত (Subrata Dutta) নয়, বরং এবারে ব্যোমকেশ-সহচর অজিতের ভূমিকায় দেখা যাবে ভাস্বর চ্যাটার্জীকে (Bhaswar Chatterjee)। আগামী ৭ এপ্রিল হইচই অরিজিনালে (Hoichoi Originals) মুক্তি পাবে ‘ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল’।

Scroll to Top