২০১০ সালে, ‘কেল্লাফতে’ ছবি দিয়ে রুপোলি পর্দায় অভিষেক ঘটে এই যুগের অন্যতম ‘সেনসেশন’ অঙ্কুশ হাজরার ( Ankush Hazra)। প্রথম ছবিতেই অভিনয় এবং নাচের দক্ষতার জন্য সকলের নজর কাড়েন তিনি। ‘ইডিয়ট’, ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’, ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’, ‘জামাই ৪২০’, ‘কেলোর কীর্তি’ ইত্যাদির মত টিপিক্যাল বাণিজ্যিক-ধর্মী ছবি করলেও, ‘কানামাছি’, ‘জুলফিকার’ এর মত গম্ভীর ছবিতে অভিনয় করেও অঙ্কুশ নিজের জাত চিনিয়েছেন। একের পর এক ‘হিট’ ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে, সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন একটি ওয়েব সিরিজে।

অঙ্কুশ হাজরা অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজটির নাম হল ‘শিকারপুর’। জি বাংলার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, জি ফাইভে (Zee5) মুক্তি পেয়েছিল এই উপস্থাপনাটি। অঙ্কুশের চরিত্রের নাম হল কেষ্ট। টিপটপ সাজ তাঁর। প্যান্টে জামা গুঁজে, কালো রোদ-চশমা, এবং বাহন সাইকেলকে নিয়ে কেষ্টর উপস্থিতি বেশ হাসির আবহ তৈরি করে। কখনও আবার কোলে থাকে তাঁর একটি করে ছাগল। এই কেষ্টই আবার তাঁর এলাকার পরিচিত গোয়েন্দা। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের কোলে এক ছোট্ট শান্ত গ্রামে কোনও অজ্ঞাত কারণে নেমে আসে বিপর্যয়। শিকার হতে থাকেন এলাকার মানুষ। কিন্তু কার শিকার? গ্রামের মানুষ ‘পিছলা ভূত’কে দায়ী করলেও, আসলে এ কাজ যে মানুষেরই তা বুঝতে বাকি থাকে না তদন্তকারীদের। ভার পড়ে কেষ্টর ওপর। সে কীভাবে এই রহস্য সমাধান করবে তাই নিয়েই ‘শিকারপুর’ এর গল্প আবর্তিত।
অঙ্কুশ মানেই কমেডি। গোয়েন্দা হলেও, হাসির মোড়ক তিনি ত্যাগ করেননি। সম্প্রতি এই ওয়েব সিরিজের একটি প্রচার মাধ্যম হিসেবে নির্মাতারা একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন। বলা বাহুল্য, এ সাক্ষাৎকার কিন্তু যে সে সাক্ষাৎকার নয়। এই সাক্ষাৎকার হল অঙ্কুশ বনাম কেষ্টর। অর্থাৎ স্বয়ং অভিনেতা এবং তাঁর অভিনীত চরিত্রের। অঙ্কুশ এবং কেষ্টকে মুখোমুখি হতে দেখেই দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। তারপরে অঙ্কুশের প্রশ্নবাণ এবং সবকটি প্রশ্নবাণকে অতিক্রম করে, উল্টে অঙ্কুশের দিকেই কেষ্টর তীর ছোঁড়া, দর্শককে মনোরঞ্জন করেছে। তাঁদের এই দ্বৈরথ চলেছে বেশ মজার ছলে। একবারের জন্যও মনে হয়নি, তাঁরা একজন মানুষই! এমনকি বদলে গেছে দুজনের গলার স্বরও। বাচনভঙ্গির সঙ্গে আদ্য প্রান্ত তাঁদের আদবকায়দার বৈপরিত্য, সবকিছুতেই তফাৎ দৃষ্ট হয়েছে। অবাক করা বিষয়, তাঁরা একজন মানুষ হয়েও প্রযুক্তির কৌশলে, এবং চরিত্রের খাতিরের জন্য যে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে দুজনের মধ্যে, তা নেটিজেনদের বেশ চমকিত করেছে।
