বৃদ্ধ বিপত্নীক গৌড় বাবুর একটামাত্রই ছেলে। অন্যের বিবাহের ‘ওয়েডিং প্ল্যানার’ হলেও, এখনও তাঁর মনে বসন্তের পলাশ ফোটেনি! তাঁর কথায়, বিয়ে মানে তাঁর কাছে ‘ভেন্টিলেশন’! কিন্তু প্রবীণ বাবা চান, ছেলের জীবনে নেমে আসুক বাসন্তী বাতাস, সেও খুঁজে পাক তাঁর সঙ্গিনীকে। কিন্তু ছেলেও ফনর সিদ্ধান্তে অবিচল। আসলে এমনই এক প্রেক্ষাপট চিত্রিত হয়ে উঠেছে অভিজিৎ সেন পরিচালিত ‘প্রজাপতি’ ছবিতে।
এই ছবির আগে অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ‘টনিক’ চলতি বছরে বিশেষ ভাবে সমাদৃত হয় সংস্কৃতি মহলে। চেনা নায়ক নায়িকা খলনায়কের বৃত্ত থেকে একেবারে দলছুট হয়ে, অন্য ধাঁচের আবহ নির্মিত হয়েছিল এই ছবিটিতে। অভিনয় করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেব। এক বৃদ্ধ দম্পতিকে বার্ধক্যেও ফেলে আসা যৌবনের স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার ছবি হয়েছিল ‘টনিক’। অভিজিৎ সেনের এই ছক ভাঙ্গা গল্প সিনেমাপ্রেমীরা বেজায় ভালোবাসেন। ‘প্রজাপতি’ ছবিটিতে ত্রিকোণ প্রেম থাকলেও, এর গাঁথুনি বেশ হৃদয়স্পর্শী। এখানে তীব্রতা পেয়েছে বাবা এবং তাঁর ছেলের সম্পর্ক।
মা-হারা ছেলের জীবনের একমাত্র ‘হিরো’ তাঁর বাবা। বাবার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হলেও, একটি দিকেই মতের ভিন্নতা হয়। সেটা হল বিয়ের প্রসঙ্গ। বাবা যত ছেলের বিয়ের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন, ছেলে তত তাঁর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। ‘প্রজাপতি’র সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গান, যেটি কিনা এই ছবির মূল সঙ্গীত অর্থাৎ টাইটেল ট্র্যাক, তাতে বাবা ছেলের আবেগী রসায়নের সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে দুজনের বিয়ে নিয়ে ভিন্ন মনস্তত্ত্ব।
আসলে দেবের চরিত্রটি এখানে ঠিক যেন প্রজাপতির মত। তাঁর মন উড়ে বেড়ায় নানা রকম রোমাঞ্চ উপভোগ করতে। বাউন্ডুলে স্বভাবের এই চরিত্রের মতি গতি বোঝা, সত্যিই দায়। কিন্তু কিভাবে তাঁর বাবা তাঁকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
প্রসেনের কথায়, রথিজিতের সুরে, এই গানের প্রত্যেক কলিকে জীবন্ত করে তুলেছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এবং স্নিগ্ধজিৎ। আসন্ন বড়দিনের প্রাক্কালে মুক্তি পাবে এই ছবি।