প্রিয়তমার উদ্দেশ্যে আমরা প্রায়ই বলে থাকি, ‘তুমি মায়ের মতই ভালো…’ কিন্তু বাবাকে কেন্দ্র করে প্রিয়তমর উদ্দেশ্যে সেভাবে কখনও বলা হয়ে ওঠেনি। বাবা বা মায়ের স্থান কখনই অন্য কেউ পূরণ করতে পারেন না। তবুও, বাবা কিংবা মায়ের অনুপস্থিতিতে, যে মানুষটি হয়ে ওঠে আঁকড়ে ধরার সম্বল, কঠিন পরিস্থিতিতে যাঁর হাত ধরে মনে হয় সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়, গভীর রাতে যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্নতে প্রলেপ দেওয়ার জন্য যাঁর উষ্ণ আঁচ জীবনী শক্তি হয়ে ওঠে, তিনিই হয়ে ওঠেন মা বা বাবার মতই ভালো। টলিউড অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের জীবনে নিঃসন্দেহে এই ভূমিকা পালন করেছেন তাঁর প্রেমিক অঙ্কুশ হাজরা।
শিশু শিল্পী হিসেবে শৈশবে ঐন্দ্রিলা বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ২০১০ সালে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর স্বতন্ত্র তথা মূল চরিত্রের জন্য আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই একই বছরে অঙ্কুশ হাজরা তাঁর অভিষেক ঘটান বড় পর্দায়। ‘কেল্লাফতে’ ছবিটি দিয়ে তাঁর হাতেখড়ি হয় সিনে জগতে। ঐন্দ্রিলা এবং অঙ্কুশের সম্পর্ক হয় ২০১২ নাগাদ। প্রায় দশ বছর ধরে তাঁদের সম্পর্কের ‘ম্যাজিক’ উপভোগ করছেন অনুগামীরা। যে যুগে সম্পর্কের হিসেব হয় কেবল ‘give and take policy’ দিয়ে, সেই যুগে দাঁড়িয়ে ঐন্দ্রিলা এবং অঙ্কুশের সম্পর্ক যেন সকলকে মুগ্ধ করে, রাজকন্যা রাজপুত্রের রূপকথাকে বাস্তবায়িত করে তোলে।

আরও একবার নেট দুনিয়া ভাসলো অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলাকে কেন্দ্র করে। গত ১৫ ডিসেম্বর ছিল ঐন্দ্রিলার বাবা শান্তনু সেনের জন্মদিন। বেশ কয়েক বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। অন্যান্য মেয়েদের মতই, ঐন্দ্রিলাও ছিলেন বাবার রাজকন্যা। বাবার মৃত্যুতে তিনি খুব স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত সেই সময়ে শহরে ছিলেন না তাঁর প্রেমিক রত্নটি। অর্থাৎ একটি ছবির শুটিংয়ে দেশের বাইরে ছিলেন অঙ্কুশ। প্রিয়তমার পাশে সবচেয়ে কঠিন দিনে না থাকতে পারার অনুতাপ, অঙ্কুশের মধ্যে প্রায়ই লক্ষিত হয় সামাজিক মাধ্যমে।

ঐন্দ্রিলার বাবার জন্মদিনের দিন অঙ্কুশ সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ঐন্দ্রিলাকে হয়ত বাবার জায়গা পূরণ করতে পারবেন না অঙ্কুশ, তবে ঐন্দ্রিলার সকল আবদার তিনি পূরণ করবেনই। রানীর মত রাখবেন বাবার আদরের রাজকন্যাকে। এমন আবেগী বার্তা মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের। সকলেই অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলার আগামী দিনগুলির উদ্দ্যেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছেন।
