১৯৯৮ সালে স্বপন সাহার (Swapan Saha) হাত ধরে তিনি পা রাখেন রুপোলি জগতে। প্রথম ছবি ‘শিমুল পারুল’ (Simul Parul) এ তাঁর অভিনয় মন জিতে নেয় দর্শকের। হাওড়ার সেই গুণী মেয়েটিকে, চিনে নেয় টলি সাম্রাজ্য। অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya), দেখতে দেখতে অভিনয় জগতে রজত জয়ন্তী পাড় করে ফেলেছেন তিনি। সম্প্রতি মাতৃহারা হয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু জীবন যে গতিময়, দুঃখবিলাস করে যে কোনও লাভ হয় না, বরং জীবনের প্রতি মুহূর্ত প্রাণ ভরে বেঁচে নিতে হয়, এমনই একটি জীবনের পাঠ দিলেন অপরাজিতা। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) একটি সমুদ্র সৈকতে অবসর যাপন করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে।

বরাবরই অন্যান্য অভিনেত্রীদের তুলনায়, অপরাজিতা বেশ প্রাণখোলা প্রকৃতির। খোশমেজাজেই তাঁকে দেখা যায়। অভিনয় থেকে নৃত্য, সকল বিষয়ে পারদর্শী এই অভিনেত্রী জীবনকেও প্রাণ ভরে উপভোগ করতে ভালোবাসেন। তিনি জানেন জীবনে এগিয়ে যাওয়াই বেঁচে থাকা। দুঃখ আঁকড়ে থাকা সমাধান নয়। তাই তিনি তাঁর মত করে গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। মানসিক পরিচর্যার জন্য যেখানে ভ্রমণও একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই অপরাজিতার এই মুহূর্তে মন ভালো করার ওষুধ হয়ে উঠেছে সমুদ্র, যে সমুদ্রে গর্জনই তাঁকে মানসিক শান্তি প্রদান করে।

অপরাজিতার এই ইতিবাচক মনোভাব নেটিজেনদের যেমন ভালো লেগেছে, তেমনই কিছু নেটিজেন বিরূপ মন্তব্যও করে বসেছেন। এমনকী সদ্য মায়ের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনেও অনেকে কটাক্ষ করেছেন অভিনেত্রীকে। খুব “স্পোর্টিংলি” পরিস্থিতির সামাল দিয়েছেন অপরাজিতা। কারণ তিনি জানেন, ‘বাঁচার সে কী আনন্দ’! খুব সম্প্রতি বড় পর্দায় অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, রঞ্জিত মল্লিক এবং অপরাজিতা অভিনীত ছবি ‘লাভ ম্যারেজ’ (Love Marriage) প্রদর্শিত হতে চলেছে। এছাড়া ‘চিনি ২’ (Cheeni 2) এর দ্বিতীয় ভাগেও যথারীতি দেখা যেতে চলেছে তাঁকে।
